মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০১৭

Progressive Education Thoughts

প্রগতিশীল শিক্ষা ভাবনা
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্*
শিক্ষা নিয়ে যুগ যুগ ধরে ভেবে আসছেন; দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা মনোবিজ্ঞানীগণ। বিগত তিন শতাব্দী ধরে চেষ্টা চালানো হচ্ছে কীভাবে শিক্ষা চিন্তা ও শিক্ষা পদ্ধতিতে সনাতন মার্কিন-ইউরোপীয় ধারাকে নতুন আঙ্গিকে ঢেলে সাজানো যায়। কর্মমুখি বা অভিজ্ঞাতার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণই প্রগতিশীল শিক্ষার মূল। উনবিংশ শতকের শেষার্ধে প্রগতিশীল শিক্ষা আন্দোলন শুরু হয় এবং এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষত: উচ্চ শিক্ষা স্তরের জন্য প্রগতিশীল শিক্ষা চিন্তার ও ভাবনার উদ্রেগ ঘটে। প্রগতিশীল শিক্ষা চিন্তার বৈশিষ্ট্যসমূহ নিন্মরূপ;
-এ শিক্ষা পদ্ধতিতে কর্মের মাধ্যমে শিখণ, প্রকল্পের মাধ্যমে শিখণ, ভ্রমণ ভিত্তিক শিখণ; প্রভৃতির উপর জোর দেয়া হয়।
-নির্দিষ্ট থিম নিয়ে সমন্বিত শিক্ষাক্রম সাজানো হয়।
-শিক্ষায় উদ্যোক্তা গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব পায়।
-সমস্যা সমাধানমূলক এবং ক্রিটিক্যাল থিংকিং (গভীর চিন্তন)শিখন প্রাধান্য পায়।
-দলীয় কাজ এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধির উপর দৃষ্টি দেয়া হয়।
-মুখস্থকরণেরে চেয়ে বোধগম্যতা অর্জন এবং কর্মমুখিনতা গুরুত্ব পায় বেশি।
-এটি সহযোগিতামূলক এবং সহায়তামূলক পজেক্ট পদ্ধতি।
-সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং গণতন্ত্রের জন্য শিক্ষা ভাবনা এটি।
-প্রত্যেক একক ব্যাক্তি লক্ষ্য অর্জনের বিবেচনায় অতিমাত্রায় ব্যাক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এটি।
-সামাজিক সেবা এবং সেবামূলক শিখণের সমান্বত রূপ এটি।
-ভবিষ্যত সমাজের চাহিদা অনুযায়ি বিষয়সূচি নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
-বৈচিত্রময় শিখণ বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পাঠ্যবইয়ের প্রাধন্যি হ্রাস করা হয়।
-জীবনব্যাপী শিখণ এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশকে এতে জোর দেয়া হয়।
-শিক্ষার্থীদের প্রকল্প কর্ম এবং সৃষ্টিশীল কাজের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়।
প্রগতিশীল শিখণ তত্ত্ব:
প্রগতিশীল শিক্ষা ভাবনার জনক জন ডিউই হলেও এ ধারণার অগ্রদূত হলেন; জন লকা এবং জাঁ জক রুশোঁ। লক বিশ্বাস করতেন যে, সার্বজনীন বা প্রতিষ্ঠিত ধারণাসমূহকে প্রাধান্য দেয়ার চাইতে পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার মধ্যদিয়েই সত্য ও জ্ঞান অর্জিত হয়। তিনি আরও বলেন, শিখণ অর্জনে শিক্ষার্থীদের নিবীড অভিজ্ঞতা লাভের প্রযোজনীয়তা রয়েছে। রুশো লকের ভাবনাকে আরও গভীরতর রূপ দেয়ার ভাবনায় যুক্তি প্রদর্শন করেন যে, শিক্ষকদের প্রতি ভক্তি এবং তথ্যাদি মুখস্থকরণের মাধ্যমে শিক্ষা লাভ হবে না।
জোহান বার্ণহার্ড বেসডাউ: তিনি ১৭৭৪ সালে ডেসাউয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। লকা ও রুশোর ভাবনা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে এখানে আনুষ্ঠানিক বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার চেয়ে কর্মের মাধ্যমে শিখণ-শেখানোকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হত। তিনি শিশুদের সাথে কথোপকথন ও খেলা-ধুলায় মেতে ওঠে এবং শারীরিক বিকাশ ঘটানোর পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁর নতুন শিক্ষাদান পদ্ধতির সূচনা ঘটান। তিনি এ ধারণাকে ভিত্তি করে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। খ্রিস্টিয়ান গটিল্ফ সালজমান, জন হেনরিখ পেস্টালোজি, ফ্রেডরিখ উইলহেল্ম ফর্বেল, জন ফ্রেডরিখ হার্বার্ট, জন মেলিখয়র বসকো, সেইল রেড্ডি প্রমুখ শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী প্রগতিশীল শিক্ষা ভাবনার ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যান। এঁদের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৮০ সালে সূচিত প্রগতিশীল শিক্ষা আন্দোলন মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থাকে অংকুর হতে য়ুলে ফলে সুশোভিত করে সারা বিশ্বে শীর্ষ শিখরে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮৮০ হতে ১৯০৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী জন ডিউই এ আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তাঁর নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষাস্তরে ব্যাপক সংস্কার সাধন করা হয়।তাঁর মতে শিক্ষা হলো; ‘‘জাতির সামাজিক সচেতনার মধ্যে ব্যক্তি বিশেষের অংশগ্রহণ।” শিক্ষার্থীকে সামাজিক জীব হিসেবে গণ্য করে শিখণ-শেখানো পরিচালনা করতে করবে। জন্মের পর থেকেই অবেচতনভাবে শিশুর শিশুর জ্ঞান অর্জন প্রক্রিয়ার সূচনা ঘটে এবং ধীরে ধীরে তাদের জ্ঞানজগতের বিকাশ ঘটে ও সমাজে তা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষা প্রক্রিয়ার দু‘টি দিক আছে, মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক। আর এদুটির ভিত্তি হলো; দৈহিক সামর্থ। একটি শিশুর সহজাত বুদ্ধি-বিবেচনা এমন এক পর্যায়ে তাদেরকে পৌঁছে দেয় যে, তারা তাতে মানুষ হয়ে ওঠে। জন ডিইউই‘র মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের অংশ। আর এধারণার ব্যাত্যয় ঘটলেই শিক্ষা ব্যর্থ হয়। সমাজ মনে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু তথ্য দেয়া হয়, কিছু পাঠ শেখানো হয় অথবা কিছু মানবাচরণ গড়ে উঠে। ডিউই মনে করেন যে, শিক্ষা যেহেতু সমাজ গঠনের সহায়ক উপাদান, তাই এটি সমাজের অংশ এবং সমাজে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। তাঁর মতে ‘শিক্ষা হলো জীবন যাপনের প্রক্রিয়া এবং ভবিষ্যত জীবন যাপনের প্রস্তুতি নয়।’ তাই স্কুলে অবশ্যই বর্তমান জীবনের প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত হবে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের গৃহজ জীবন (যেমন নৈতিক এবং নীতিগত শিক্ষা) স্কুল প্রক্রিয়ায় অংশ। শিক্ষক এর অংশ বিশেষ, কর্তৃত্বপরায়ণ কেহ নন, সমাজের অংশরূপে তিনি সেখানে শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা করেন। ডিউই‘র মতানুসারে বিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমে সমাজের প্রফিলন থাকতে হবে। মূল পাঠ্য বিষয়ের(যথা-ভাষা, বিজ্ঞান, ইতিহাস প্রভৃতি)-এর সাথে রান্না, সেলাই এবং প্রচলিত বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে তিনি মনে করেন। অধিকন্তু, তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন যে, অধ্যয়নের ফল হিসেবে অগ্রগতি অর্জন হয় না, কিন্তু তা ঘটে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে নতুন আগ্রহ জাগ্রত হয়। শিশুর সামর্থ্য ও আগ্রহের ওপর নির্ভর করবে শিখণ পদ্ধতি। যদি শিশুর ওপর কোন কিছু চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। হেলেন পার্খোস্ট, রুডলফ স্টেইনার, মারিয়া মন্টেস্সোরি, রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল প্রমুখ জন ডিউই‘র শিক্ষা ভাবনাকে আরও এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেন। সনাতনী শিক্ষায় বাহ্যিক প্রণোদনা; যেমন গ্রেড ও পুরস্কার প্রদান প্রকাশ পায়। আর প্রগতিশীল শিক্ষাভাবনা অন্তর্নীহীত শিশুর আগ্রহমূলক কর্মকান্ড ভিত্তিক প্রণোদনা প্রকাশ পায়। প্রশংসাই মোটিভেশন বা প্রেরণা যোগানোর ভূমিকা পালন করে থাকে।  
একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতাসমূহ: দ্রুততম সময়ে পরিবর্তমান, ডিজিটাল সমাজ এবং কর্মস্থলের প্রেক্ষাপটে একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা হলো, কতগুলো উচ্চতর দক্ষতা, সামর্থ্য এবং শিখণ-শেখানোর সমষ্টি বিশেষ।ফ্রান্স, জার্মান, পোল্যান্ড, স্পেন, সুইডেন, যুক্তরাজ্য প্রভৃতি দেশে প্রগতিশীল শিক্ষা ভাবনার প্রতিফলন ঘটানো হচ্ছে। ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে প্রগতিশীল শিক্ষা ধারায় উত্থান-পতনের ঘটনা ঘটেছে। ভারতে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের শিক।ষা ভাবনার ব্যাপক প্রতিফলন ঘটে।
সনাতন এবং প্রগতিশীল শিক্ষা ভাবনার পার্থক্য:
সনাতন
প্রগতিশীল
বিদ্যালয় হলো জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণের ক্ষেত্র।
বিদ্যালয় হলো জীবনের অংশ বিশেষ।
শিক্ষার্থীরা হয়ে থাকে পরোক্ষ তথ্য ও কর্তৃত্ব গ্রহণের মাধ্যম।
শিক্ষার্থীরা সক্রিয় অংশগ্রহণকারি, সমস্যা সমাধানকারি ও পরিকল্পনাকারি।
শিক্ষকগণ হন তথ্য ও কর্তৃত্ত্বের উৎস।
শিক্ষকগণ হন সহায়ক, নির্দেশক এবং চিন্তার উদ্রেককারি।
অভিভাবকগণ হন বহিরাগত এবং বিচ্ছিন্ন।
অভিভাবকগণ হন প্রথম শিক্ষক, লক্ষ্য নির্ধারণকারি, পরিকল্পনাকারি এবং অর্থ যোগানদাতা।
জণগোষ্ঠী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন না, অর্থ যোগান দেন মাত্র।
জনগোষ্ঠী শ্রেণি শিখণ-শেখানোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
কেন্দ্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং পরিচালিত হয়ে থাকে।
সকল অংশিজনের অংশগ্রহণ থাকে।
বাহ্যিক দিকগুলোকে বিশেষত ফলাফলগুলোকে বিবেচনায় কর্মসূচি নির্ধারণ করা হয়।
মিশন বা লক্ষ্য, দর্শন এবং উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
শিখণ অর্জিত হয় নির্ধারিত, পুঞ্জিভুত তথ্যরাজি এবং অর্জিত দক্ষতা ব্যবার করে।
ক্রমান্বয়ে, গভীর ও ব্যাপক পরিসরে শিখণ অর্জিত হয়।
বক্তৃতা, লেকচার শীট ও পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জিত হয়।
খেলাধুলা, প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক আন্তক্রিয়ার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জিত হয়।
শেখানো অনুশীলণ করানো হয় পূর্ব নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে এবং শুদ্ধ উত্তর চর্চার মাধ্যমে।
শিক্ষার্থী কতৃক প্রশ্নকরণ ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে শেখানো হয়।
পাঠ্য বিষয়বস্তু, বিশেষত ভাষা ও গণিত বিষয় আলাদা আলাদা।
শিক্ষার্থীদের পছন্দানুযায়ি পাঠ্য বিষয়বস্তু নির্ধারণ হয়ে থাকে।
দক্ষতাসমূহ অর্জন করানো হয় বিক্ষিপ্তভাবে ও সেগুলোকে লক্ষ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রগতিশীল শিক্ষা পদ্ধতিতে দক্ষতাসমূহ অর্জন করানো হয় পাঠ্য বিষয়বস্তুর অবিচ্ছেদ্য অংশরূপে এবং তা কৌশল হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে।
মূল্যায়ন চলে গতানুগতিক, বাহ্যিক এবং মান নির্ধারণ করে।
নতুন নতু কৌশল নির্ধারণ, চাহিদা চিহ্ণিতকরণ এবং উন্নয়ন লক্ষাভিমুখি মূল্যায়ন করা হয়।
সাফল্য বিবেচনা করা হয় প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে, মুখস্থ ও স্মৃতি নির্ভরতা এবং নির্ধারিত সময় বা স্থান বিবেচনায়।
সাফল্য বিবেচনা করা হয় নিত্যকার প্রায়োগিক চর্চা এবং সহায়তাকরণের মাধ্যমে।
সনদ অর্জনই শেষ কথা।
সনদ অর্জনই শেষ কথা নয়, প্রিক্রিয়া অব্যাহত রাখাই মুখ্য।
ভাষা দক্ষতা এবং যৌক্তিক/গানিতিক দক্ষতার পরিমাপক হলো বুদ্ধিমত্তা।
বৃদ্ধিমত্তার বৈচিত্রায়নকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়, এতে
শিল্প কলাসহ সবকিছু এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর এতে বাস্তব জীবনধর্মী সমস্যা সমাধানমূলক পরিমাপক ব্যবহার করা হয়।  
স্কুল বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নির্দিষ্টকালের জন্য।
স্কুল হবে জীবনের একটি কঠিন ও মজার মধ্য দিয়ে কাঠানোর অংশ।
উপসংহার: প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার সময় হতে ইউরোপীয় এন্লাইটেনম্নেট সময়কাল পার করে চলে আসা শিক্ষা ব্যবস্থায় উনবিংশ শতকের শেষার্ধে একটি বড় ধরণের ঝাঁকুনি দেয়, প্রগতিশীল শিক্ষা চিন্তা-ধারা। জন লকা, রুশোর হাত ধরে জন ডিউই একে পূর্ণতা দেন। আর তা ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে ব্যাপক অনুসৃত এবং অনুশীলণ করা হয়। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এস মার্কিন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ব্লুম প্রমুখ এসে তাতে যোগ্যতা ভিত্তিক বা সৃজনশীল শিখণ-শেখানো এবং মূল্যায়ন পদ্ধতির সঙযোজন করেন। তথ্য-প্রযুক্তির সংযোজন শ্রেণি শিখণ-শেখানোতে অত্যাধুনিকতার আবহ সৃষ্টি করেছে বর্তমানে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে শিক্ষা গ্রহণ, শিক্ষা দান এবং শিক্ষা গ্রহণে নানা কৌশল অবলম্বন. পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা ও সংস্কার-পরিমার্জন এখনো চলমান। এসব হয়ত চলতেই থাকবে। মানুষের মন বড়ই অস্থির। আর তা ঘটে দেশ-অঞ্চল-এলাকা বিশেষে। এসব হয়ত ইহকালব্যাপী চলতে থাকবে। 

*সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার; মহেশখালী, কক্সবাজার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন