শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

Engineer Zahurul Mowla: A Legendary, Family Father & Successful Personality


(৪র্থ পর্ব)
মরহুম খালেক-মাজেদা পরিবার যেসব পরিবারের সাথে আত্নীয়তার বন্ধন গড়ে তুলেছেন: মরহুম মুফতি আব্দুল খালেক পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন চকরিয়া উপজেলার হাজিয়ান এলাকার মরহুম তৈয়ম খলিফার কন্যা মরহুম আলহাজ্ব মাজেদা বেগমের সাথে তাঁর সহধর্মীনী জনাবা মাজেদা বেগম ছিলেন অত্যন্ত প্রাজ্ঞ, বিদূষী তাপসী রমণী আমি তাঁর প্রথম নাতনির জামাই হিসাবে তিনি আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ভালোবাসতেন তিনি সব সময় আমাদের জন্য দোয়া করতেন এবং মায়া-মমতা-স্নেহের পরশে আচ্ছাদিত করে রাখতেন, আমাদেরকে আমি দাম্পত্য জীবনের প্রথমদিকে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্যের অধিকারী ছিলাম না আমি পত্রিকায় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার চাকরি করে সামান্য বেতন-ভাতা নিয়ে ক্যারিয়ার গঠনের চেষ্টায় চাকরির ইন্টারভিউ ইত্যাদিতে অংশগ্রহন করছিলাম এবং পরিবার পরিচালনা করছিলাম, তখন ১৯৯৭ সালের জুন মাস হতে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত এভাবে সংসার নিয়ে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছিলাম, আমি এরমধ্যে আমার প্রথম সন্তান ইশরাত জান্নাত মৌরির জন্ম হয় এসময় আমি বর্তমান চাকরিটিতে যোগদানের সুযোগ পাই এক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ দোয়া আশীর্বাদ ছিলো বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যাহোক,  মরহুম মুফতি আব্দুল খালেক মরহুম আলহাজ্ব মাজেদা বেগম-এর সন্তানগণ যেসব পরিবারের সাথে আত্নীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হন তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পর্যায়ে তুলে ধরছি তাঁদের বড় সন্তান আলহাজ্ব জহুরুল মওলার শ্বশুর পরিবার চকরিয়ার ঢেমুশিয়া-ইলিশিয়া জমিদার পরিবার সে পরিবারের মরহুম সুলতান মিয়ার দ্বিতীয় কন্যা জনাব উম্মে হাবিবা জনাব জহুরুল মওলার সহধর্মীনী তাঁর শাশুড়ি বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া মনু মিজ্জি জমিদার পরিবার এবং ইলিশিয়ার জমিদার পরিবার মকছুদ মিয়া পরিবারের সদস্যা ছিলেন আর তাঁর শ্বশুর মরহুম সুলতান মিয়াও ছিলেন একজন নাম করা জমিদার মুফতি খালেক দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুখতার আহমদ শাদি মুবারকের বন্ধনে আবদ্ধ হন পালাকাটার সাব-রেজিস্ট্রারার পরিবারের মেয়ে জনাবা শওকত আরার সাথে আর মরহুম মো: এনামুল হক বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন উখিয়া উপজেলার খ্যাতিমান হাইস্কুল প্রধান শিক্ষক কাজী মরহুম মাস্টার নুরুল কবিরের কন্যার সাথে মরহুম এনামুল হকের শ্বশুর পরিবারও উখিয়ার একটি নামকরা বনেদী মুসলিম পরিবার মরহুম মুফতি খালেকের প্রথম কন্যা চতুর্থ সন্তান আলহাজ্ব শামীম জান্নাতকে বিয়ে দেয়া হয়, সাহারবিল আব্দুল জব্বার সিকদারের ছোট সন্তান মাস্টার মরহুম মো: আজিজুর রহমানের সাথে দ্বিতীয় কন্যা ষষ্ঠ সন্তান আলহাজ্ব সালেহা বেগম পরিনয়সূত্রে আবদ্ধ হন সাতকানিয়ার ব্যাংকার ব্যবসায়ী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম সাহেবের সাথে জনাব নুরুল ইসলাম চট্টগ্রাম শহরের একজন নাম করা ব্যবসায়ী ছিলেন এখন তিনি অনেকটা অবসর জীবন-যাপন করছেন অত:পর মুফতি মরহুম আব্দুল খালেকের সপ্তম সন্তান জনাব ডা: ছরওয়ার আলম বাহাদুর বিবাহ করেছিলেন একজন বিদেশী নাগরিককে, বুলগেরিয়ান নাগরিক পরিবারে সবার ছোট এবং উজ্জ্বলতম সদস্য শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কাইসার পরিনয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন রাউজান উপজেলার নাম করা প্রখ্যাত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক জনাব মো: কামাল উদ্দিন সাহেবের ভাইয়ের মেয়ে জনাব মুসরাত জাহান পিনুর সাথে তাঁর (শহীদ কাইসার) শ্বশুর ছিলেন চট্টগ্রাম শহরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ষোল শহর ( নং) আল ফলাহ গলিতে তাঁদের নিজস্ব বাসভবন রয়েছে
আমার মরহুম সেজো ভাই আলম পরিবার জহুরুর মওলা পরিবার: আমি ইন্জিনিয়ার জনাব জহুরুল মওলা পরিবারের সাথে পরিচিত হই আমার সেজো ভাবী জনাব জাহানরা বেগমের (জানুব্বুর)  মাধ্যমে তাদের চট্টগ্রাম শহরের চমমা হিলের বাসায় আমি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিষয়ে বিএসএসন (সম্মান) শ্রেণিতে পড়ি ১৯৯১ সালের মাঝামাঝি বা শেষ দিকের ঘটনা, এটি ভাবী পারিবারিক প্রয়োজনে চকরিয়া গ্রামের বাড়ি যাবেন তিনি তার মেযে কুটিকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে এসে জনাব জহুরুল মওলার বাসায় উঠেন পরে চকরিয়া যান আমি চশমা হিল এলাকাটার সাথে তেমন পরিচিত ছিলাম না যদিও আমি ১৯৮৪ সালের মাঝামাঝি হতে চট্টগ্রাম শহরে ৯ম শ্রেণি (আলিম ১ম বর্ষ) হতে পড়াশোনা করতে শুরু করি, দারুল উলুম আলীয়াহ মাদ্রাসায় ১৯৮৪ সাল হতে ১৯৯১ সাল, বছর হয়ে যায়, শহরে চকবাজার এলাকা এবং ষোল শহর বিপ্লব উদ্যান এলাকা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়া বোধহয় আমার চট্টগ্রাম শহর এলাকাটা পুরোপুরি তখনও পরিচিত ছিল না তাই চট্টগ্রাম রের স্টেশন হতে ষোল শহর চশমা হিল এলাকায় একটি নতুন বাসা খোঁজে বের করে যাওয়া অত সহজ ছিল না আর তখনও মোবাইল ফোন ইত্যাদির ব্যবহারও অতটা সহজ লভ্য ছিল না যাহোক, ষোল শহর বায়েজীদ বোস্তামী সড়কের দিকে রেল ক্রসিং পার হয়ে ডানদিকের একটি গলি দিয়ে চশমা হিলে যেতে হয়েছে যাহোক ঠিকানা ধরে খুঁজতে খুঁজতে বাসাটি পাই, দরজায় ইংরেজিতে লেখা ছিলো; “ENGINEER ZAHURUL MOWLA" এভাবে মওলা সাহেবের পরিবারের সাথে আমার পরিচয় হয়, প্রথম আমার আমি কিছুটা সে বাসায় সংকোচ বোধ করছিলাম কারণে যে, প্রথম বার তাঁদের বাসায় গিয়ে কারও সাথে আগে পরিচয় ছিল না, কেন জানি ইত্সত লাগছিল তখন মিস. মওলা আমার লাজুকতা কাটানোর জন্য সহজ করতে চেষ্টা করলেন, আমাকে তিনি আমাকে বললেন, ‘ভাই আমরাও চকরিয়ার মানুষ সংকোচ করার কিছু নেইতখন আমি কিছুটা সহজ-স্বাভাবিক হয়ে তাঁদের সাথে সৌজন্য বিনিময় করি তাঁদের সন্তান শিমু, ইমন তুহিনের সাথেও পরিচয় হয়, সেদিন তখন বোধহয় জগুরুল মওলা সাহেব বাসায় ছিলেন না তিনি বাইরের থেকে বাসায় ফিরে আসলে, তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয় তিনি আমার সাথে হালকা সৌজন্য বিনিময় করেন কিছু প্রশ্ন করেন আমি কী পড়ছি, কোন ইয়ারে বা কোন বিষয়ে পড়ছি, এসব এসময় তাঁর জ্যোটত ভাই জনাব হাফেজ মন্জুর আলম সাহেবের কথা বললেন; তাকে আমি চিনি কিনা জনাব হাফেজ মন্জুর আলম তখন লোক প্রশাসন বিষয়ে শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন আমি শহরে যাওয়ার পর হতেই তাকে চিনতাম, কিন্তু কখনও তেমন কথা-বার্তা হয় নি ককনও তাঁর নাথে তিনি চকবাজার এলাকায় তাহের কলোনীতে থাকতেন, আর আমি থাকতাম ফারুক কলোনীতে তিনি মাদ্রাসা পড়ুয়া একজন ভালো ছাত্র ছিলেন খুব সম্ভবত: ষোল শহর জামেয়া আহমদিয়া আলীয়াহ মাদ্রাসা হতে তিনি দাখিল পরীক্ষায় খুব ভালো ফলাফল করেছিলেন তাঁকে আমি যখন চিনতে শুরু করি তিনি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন মওলা সাহেবের পরিবারের সাথে এভাবে আমি প্রথমবার পরিচিত হলাম অত:পর সেজো ভাবী আমাকে  ১৯৯১ সাল হতে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাঁদের বাসায় নিয়ে বেশ কবার তাঁদের বাসায় যান ১৯৯২ সালের জুন মাসে আমার সেজো ভাই আলহাজ্ব মো: নুরুল আলম পরলোক গমন করলে, আমাদের চকরিয়ার কাকারাস্থ গ্রামের বাড়িতে একটি মেজবানের আয়োজন করা হয়েছিল, মরহুম আলম ভাইয়ের উদ্দেশ্যে সেজো ভাবী জানুব্বু আমাকে মওলা সাহেব এবং ফাঁসিয়াখালীর আব্দুর রশিদ সাহেবের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন, তাঁদেরকে সেজো ভাইয়ের মেলায় নিমন্ত্রণ করার জন্য মওলা সাহেবের ভরামুহুরীস্থ বাড়িতে গিয়ে আমি দাওয়াত দিয়ে আসি, সেদিন তাঁদের বাড়িটি এখন আমার নানা শশুর বাড়ি সে বাড়িতে গিয়ে দেখি মওলা সাহেব নেই, কিন্তু তাঁর মা, তার ভাই মরহুম এনামুল হক এবং ডা: ছরওয়ার আলম বাহাদুর বসে আছেন তাঁদেরকে পরিচয় দিয়ে দাওয়াত কার্ডটি দিলাম আর তাঁরা তিনজনই আমার সাথে কিছু সৌজন্যমূলক কথা-বার্তা বললেন তাঁরা নানা দিক দিয়ে বহু আগে থেকেই আমাদের সাথে আত্নয়ীতার বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন আমি সেসব (আত্নীয়তার কথা) তেমন জানতাম না আমি সে সময়টায় শুধুই পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম তাঁদের (মওলা সাহেবদের) এক ফুফির বাড়িতে (সাহারবিল ইউনিয়নে) আমাদের মেজো বোন মরহুম দিলুয়ারা বেগমকে বিয়ে দেয়া হয়েছিল তারা ছৈয়দার বাপের বাড়িনামে পরিচিত আবার আমাদের বুবু শশুর বাড়ি ছিলো, আমার দাদীর বাবার বাড়ি এভাবে মওলা সাহেবের পরিবার আমাদের পরিবারের খুব নিকটাত্নীয় না হলেও একটা সম্পর্ক ছিলো আমি ছোট বেলায় একবার আমার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাই সেখানকার হাফেজ মরহুম রশিদ আহমদ সাহেব ছিলেন আমাদের এলাকার বৈবাহিকসূত্রে স্ত্রী-পক্ষীয় আত্নীয় আর তাঁর স্ত্রী হুবাইবের মা নামে পরিচিত আব্দুর রশিদ সাহেব মওলা সাহেবদের আপন ফুফাত ভাই জনাব হুবাইব এখন বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম অফিসে হিসাব শাখায় চাকুরি করছেন, অনেকদিন মওলা সাহেবদের ফুফাত ভাই মরহুম হাফেজ রশিদের এক মেয়েকে তখন সদ্য বিয়ে দেয়া হয়েছিলো  ফাঁসিয়াখালীস্থ ওমর আলী কন্ট্রাক্টর পরিবারে সেখানে আমার সমবয়সী  ভাগিনা ভাগ্নিরাসহ সবাই বেড়াতে যাচ্ছিল তারা সাথে করে আমাকেও নিয়ে যায় খুব সম্ভবত: আমার মরহুমা মাসহ আমি সেখানে আমার সদ্য মরহুম দিলুব্বু নিকট বেড়াতে গিয়েছিলাম মা বড় বোনের আগ্রহেই হয়তো আমি তাদের সাথে মরহুম হাফেজ রশিদ সাহেবের প্রথম কন্যা সাজেদার শশুর বাড়িতে বেড়াতে যাই যাওয়ার পথে মওলা সাহেবের মা মরহুম আলহাজ্ব মাজেদা বেগম তাঁদের ভরামুহুরীস্থ বাড়ি হতে দেখতে পেয়ে আমাদেরকে কাছে ডেকে নেন আমরা হেঁটে হেঁটেই বাটাখালী ঘাট পার হয়ে সাহারবিল হতে ফাঁসিয়াখালী যাচ্ছিলাম বোধহয়্ তখনও গাড়ি-ঘোড়া চলাচল তেমন শুরু হয় নি আর তিনি সবার মুরব্বী পরিচিত হওয়ার কারণে আমরা সবাই তাঁর কাছে গিয়ে সৌজন্য বিনিময় করে আবার ফাঁসিয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রা করি কে জানতো যে, আমি বড় হয়ে তাঁদের বাড়ির নাতি জামাই হয়ে যাবো একদিন! মহান আল্লাহ তায়ালা হয়তো পরিবারেই আমার জুড়ি তৈরি করে রেখে করে রেখেছিলেন মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরীফে আমপারার প্রথম সূরা নাবা-তে একটি আয়াতে বলেছেন; “ওয়া-খালকনাকুম আজওয়াজা অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছিকার জীবসঙ্গী কোথায় আছে, তিনি (আল্লাহ্) কোথায় তৈরি করে রেখেছেন, তিনিই ভালো জানেন আর পুরুষ হলে, তার জন্য নারী সঙ্গী যেখানে মহান আল্লাহ তায়ালা নির্ধারণ করে রেখেছেন, তিনি সেখানেই পৌঁছে যাবেন, ঠিক বিপরীত দিকটি যে কোন নারীর ক্ষেত্রেও ঘটবে, এটাই আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত মানুষের নিয়তি যাহোক, এভাবে বর্তমানে আমার নানা শশুরবাড়ি (মুফতি খালেক এবং মরহুম আলহাজ্ব মাজেদা বেগমের পরিবার), এটি তাঁদের বড় মেয়ে আলহাজ্ব শামীম জান্নাতের প্রথম কন্যা জনাব শায়েমা জান্নাত পরাগ এখন আমার সহধর্মীনী সেই সত্তরের দশকের মাঝামাঝি / বছর বয়সে একবার এবং ১৯৯২ সালের জুন মাসে আরেকবার আমার নানা শাশুড়ি পরিবার বা ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা সাহেবের বাবার পরিবারে নিতান্ত পারিবারিক সৌজন্যতাবশত: গমন করেছিলাম কিন্তু পরিবারের সাথেই আমার নিয়তিকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা, যে কারণে আমার বড় ভাইগণের অনেক বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও আমি ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের সাথেই সম্পর্ক গড়ে তুলি এখানে আসলে ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা সাহেবের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠা এবং পরবর্তীতে কীভাবে তাঁর ভাগ্নী জামাই বনে গেলাম, তাঁর পটভুমিটির কিছুটা বর্ণনা লিখলাম এবার তাঁর কাছেই বা বিয়ে করার সময় ধরণা দিতে গেলাম কেনো, সেটা একটুখানি বিবরণ দেয়া প্রয়োজন মনে করছি, এখানে আমি ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসের দিকে লোকপ্রশাসন বিভাগ হতে এমএসএস-এর চূড়ান্ত ফলাফল পাই এর আগে ১৯৯৪ সালে বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার পর পরই এপেয়ারড সার্টিফিকেট দিয়ে ১৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে পাশ করেছি আর লিখিত পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, আমি ঠিক সময়ই আমার মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আর পরিবারের সবাই রব তুললেন, আমাকে বিয়ে করাবেন আমি বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছিলাম না তাই আমি আমার কয়েকজন শিক্ষক; যথাক্রমে দারুল উলুম মাদ্রাসায় কর্মরত আমাদের আত্নীয়, মুরব্বী, প্রখ্যাত আলেম--দ্বীন আমার শিক্ষক মাওলানা মকসুদ আহমদ সাহেব এবং দারুল উলুম মাদ্রাসার আরেকজ শিক্ষক জনাব মাওলানা সাইফুল ইসলাম হুজুরের সাথে আমার পরিস্থিতিটি শেয়ার করলাম তাঁরাও আমার মায়ের শেষ সময়ের কথা বুঝতে পেরে আমাকে শাদি মুবারকটি সেরে নেয়ার জন্য অর্থাৎ আমার মাকে বউ দেখানোর পরামর্শ দিলেন সুতরাং আমি বিয়েটা সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একে একে সব ভাই-বোনের সাথে (যে যেখানে ছিলেন) তাঁদের নিকট গিয়ে গিয়েই বুদ্ধি-পরামর্শ করলাম এবং তাঁদের সবার মেসেজ বুঝার চেষ্টা করলাম কিন্তু তাঁরা আমাকে বিযে করানোর ব্যাপারে ঐক্যমত হলেও, যাঁর যাঁর মতো এড়িয়ে যাচ্ছিলেন এবং নানা কূট-কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছিলেন আমার দুই মরহুম রাজনীতিক ভাই এবং যাঁকে আমি খুব বেশি আপন মনে করতাম (পঞ্চম ভাই) তিনিও দেখলাম খুব একটা আমলে নিলেন না বিষয়টি, উল্টো আমাকে ধমকালেন তারপর যা করার তাই করলাম এসময় আমি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম আর এক পর্যায়ে আমার বর্তমান বড় মামাশ্বশুর আমার সেজো ভাই মরহুম আলহাজ্ব নুরুল আলম-এর খুবই নিকটজন ইন্জিনিয়ার জনাব জহুরুল মওলা সাহেবের দামপাড়াস্থ বাসায় গমন করে পুরো বিষয়টি তাঁকে জানালাম তিনি বড় মামী (তখন ভাবী) আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন তাঁরা নিজেদের মধ্যে কি সিদ্ধান্ত নিলেন এবং আমি তাঁদেরকে কী করতে বলেছিলাম, তা এখানে উল্লেখ করা সমীচিন মনে করছি না যাহোক, উপরোক্ত ঘটনাক্রমের মধ্যদিয়েই আলহাজ্ব জহুরুল মওলা পরিবারে আমি পরিণয়সূত্রে যুক্ত হয়ে পড়ি সেই ১৯৯৭ সালের জুন মাস হতে তাঁদের সাথে যে হৃদ্যতা গড়ে ওঠল, তারই জের ধরে তাঁদের এবং সুখে-দু:খে সব সময় াম্ল-মধুর সম্পর্কটি মোটেই ভোলার নয় তাঁদের আমার একান্ত পারিবারিক আত্নীয়তার সম্পর্কের বহি:প্রকাশ আমার লেখাটি এর আগে শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কাইসারের জীবনীর একটি পান্ডলিপি আমি তৈরি করে রেখেছি সেটি লিখেছিলাম আমার একমাত্র খালা শাশুড়ি জনাব আলহাজ্ব সালেহা বেগমের অনিুপ্রেরণায় আর জনাব আলহাজ্ব ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা সাহেবের জীবনীট রচনায় হাত দিয়েছি, নিজস্ব তাগিদে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন