শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

Engineer Zahurul Mowla: A Legendary, Family Father & Successful Personality


ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা: জীবন্ত এক
 কিংবদন্তী-পরিবার কর্তা সফল মানুষ
(২য় পর্ব)
পরিবার কী?: সাধারণত পরিবার গঠিত হয়ে থাকে পিতামাতা ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের সমন্বয়ে। আবার একসঙ্গে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজন সমবায়েও একটি পরিবার হতে পারে।  পরিবার হলো একটি বৃহৎ সংসার, যেখানে অন্যান্য আত্মীয় ও ছেলেমেয়েদের সঙ্গে কিংবা তাদের ছাড়া অনাত্মীয়রাও যুক্ত হয়। পরিবার প্রায়শ সন্তানসহ বা সন্তানবিহীন এক বা একাধিক দম্পতির ছোট সংসার নিয়ে গঠিত। এর আর্থিক ভিত্তি রয়েছে। এই ভিত্তিকে কেন্দ্র করে আত্মীয়, সামাজিক সম্পর্ক ও প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে এবং ঐক্যবদ্ধ কাজের মাধ্যমে তা রূপায়িত হয়। পরিবারের বিকাশে বংশগত সম্পর্ক সাধারণত জ্ঞাতি সম্পর্কের চেয়ে অগ্রাধিকার পায়। এই শৃঙ্খলার মধ্যে সদস্যরা সমাজের আর্থিক ও সামাজিক উপপ্রথাগুলি গড়ে তোলে। বাংলাদেশের পরিবার ও রক্তসম্পর্ককে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে যেকোন পরিবারের অধিকাংশই স্বামী-স্ত্রী ও তাদের অবিবাহিত ছেলেমেয়েদের নিয়ে গঠিত। স্বামী ও স্ত্রী, অথবা বিবাহিত জীবনের এই দুই অংশীদারের যে-কেউ একজন সংসারের নিত্যনৈমিত্তিক কাজকর্মের চালক। পরিবার প্রধানের দিক থেকে বংশানুক্রমিক সদস্যদের মধ্যে দাদা, দাদি, বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, ছেলের বউ, নাতি, নাত-বউ এবং নাতনি অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে, জ্ঞাতি সদস্যদের মধ্যে রয়েছে চাচা ও চাচি, চাচার ছেলে ও মেয়ে, ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের ছেলেমেয়ে এবং এই ধারাবাহিকতায় অন্যান্যরা। বংশীয় ও জ্ঞাতিগত উভয় শ্রেণিতে পরিবার প্রধানের সকল সন্ধানযোগ্য পূর্বপুরুষ ও উত্তর পুরুষ বিগত দিনের অব্যাহত সদস্য এবং ঘনিষ্ঠতার পারস্পরিক অনুভবের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্য হওয়ার স্বীকৃতি লাভ করতে পারে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ সমাজ পিতৃতান্ত্রিক হওয়ার ফলে বংশের পরিজনরা পিতা থেকে পুত্র ক্রমিকতায় অর্থাৎ পুরষ পরম্পরার নিম্নগামী ধারায় সংজ্ঞায়িত ও পরিচিত। পিতৃতান্ত্রিক সূত্র নববিবাহিত দম্পতিকে স্বামীর ঘরে ও সংসারে বসবাসের প্রথার সঙ্গে যুক্ত করে। এই উপপ্রথাসমূহ অনেকগুলি খন্ড রূপে প্রতিফলিত, যেমন বাড়ি (একটি উঠানকে কেন্দ্র করে বহু লোকজন নিয়ে গঠিত), পাড়া (চারদিকে অনেকগুলি বাড়ি নিয়ে গঠিত প্রতিবেশ), এবং সমাজ (ক্ষুদ্র মানবগোষ্ঠী যেখানে সাধারণভাবে সামাজিক, আর্থিক ও ধর্মীয় সুবিধাদি লভ্য)। সম্ভবত সমাজ সদস্যদের খুঁজে নেওয়া যায় কয়েকটি সাধারণ পূর্বপুরুষের বংশ-পরম্পরায়। বাংলাদেশের মানুষেরা এই বিভাজিত সংগঠনকে এক সূত্রীয় বংশগতির নিয়ম অবলম্বন করতে হয়েছিল। ব্যাপক অর্থে তারা এক একটি মুক্ত দল। বিবাহিত দম্পতির বন্ধন আত্মীয়বর্গের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সম্প্রসারিত। স্বামী-স্ত্রী দুজনের যেকোন একজন আত্মীয়দের দায়দায়িত্ব বহন করে। বাংলাদেশে পরিবারের লোকজনদের চেনা যায় একই খানা বা চুলার অংশীদার হিসেবে। একজন বিবাহিত পুরুষ ও নারী মিলিয়ে একটি সমাজ একক। তাদের সংহতি, অভিন্ন স্বার্থ ও কর্তব্য তাদের যেকোন একজনের অন্যবিধ সম্পর্কজাত দায় ও স্বার্থ থেকে অধিক পূর্বাধিকার পায়। তাদের বংশধররা পারস্পরিক স্বার্থে যুক্ত এবং বিবাদরত। পরিবারের সদস্যরা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং সম্পদ, শ্রম ও আবেগে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তারা জীবনের সামাজিক, আর্থিক ও রাজনৈতিক দিকগুলি পরিচালনা করে। পরিবার-প্রতিষ্ঠান দ্বারা একজনের গার্হস্থ্য জীবন গঠিত হয় সংসারের জন্য যথাযোগ্য আচরণ, স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে, অন্যান্য পোষ্য, প্রত্যেকের দায়িত্ব, সম্পত্তির উত্তরাধিকার এবং এইরকম আরও কিছু নিয়মসূত্রে। পরিবারের মধ্যে বিরাজমান পারস্পরিক ভূমিকা ও সম্পর্ক, সহযোগিতা ও বিবাদ মুসলিম এবং হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত জ্ঞাতিবর্গের একের সঙ্গে অন্যের আত্মীয়তার প্রতিফলন ঘটায়। জ্ঞাতিত্ব বন্ধন ও অবস্থান এখন আর বাংলাদেশি পরিবারকে কোন বিশেষ ভৌগোলিক ও সামাজিক আয়তনে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে না। পরিবার-স্থানান্তর ভৌত, সামাজিক ও আর্থিকভাবে স্থাপিত আদি পারিবারিক অধিষ্ঠান থেকে মূল পরিবারগুলিকে বিচ্ছিন্ন করতে সাহায্য করছে। স্থানত্যাগ করে একটি মূল পরিবারের নাগরিক সমাজে গমনের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় আদি পরিবারে পড়ে থাকা পিতা-মাতা বা আত্মীয়স্বজনের প্রয়োজনের চেয়ে পরিবারের সঙ্গী প্রধান সদস্যদের প্রয়োজন মেটানোর অধিক প্রবণতা। যখন কোন বিবাহিত পুরুষ চাকরির প্রয়োজনে স্ত্রী ও সন্তানদের রেখে শহর বা অন্যত্র গমন করে তখন তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব কখনও কখনও বিদেশগামীর পিতা-মাতা, ভাইয়ের বা পরিবারের অন্য সদস্যরা বহন করে। সেরকম অবস্থায় টাকা পাঠানো তাদের জন্য লাভ। যখন কোন স্থানান্তর-প্রয়াসী লোক উপার্জন করতে কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে যায়, তখন পিতামাতা, ভাইবোন ও অন্য আত্মীয়রা সাধারণত তাকে সমর্থন করে। এই সমর্থনের প্রতিদানে স্থানান্তরকারী ব্যক্তি টাকা প্রেরণের দায় অনুভব করে। পরিবার অপরাধ ও হিংস্রতা কমানোর শক্তিশালী মাধ্যম রূপে সামাজিকীকরণে বাস্তব ভূমিকা পালন করে। পিতৃতান্ত্রিক প্রথায় সম্পত্তির উত্তরাধিকার মূলত পুরুষ ধারায় থাকে, এবং পরিবার পিতৃশাসিত হয়। এর বাইরে মাতৃসূত্রীয় পরিবারও আছে। বাংলাদেশের গারো এবং খাসি আদিবাসীরা মাতৃসূত্রীয়। বাংলাদেশে পরিবার একটি মৌলিক অর্থনৈতিক একক। সকল সদস্য কাজে অংশ নেয়। প্রায় অবশ্যম্ভাবী রূপে পরিবারের পুরুষ প্রধানরা ও অন্যান্য বয়স্ক পুরুষ সদস্য ফসল তুলে থাকে এবং ঘরের বাইরে আর্থিক কাজে যুক্ত হয়। সাধারণত পরিবারের মেয়েরা রান্নাবাড়া, ঘরসজ্জা, সন্তান পালন, বাড়ির বাগান পরিচর্যা, বীজ ও শস্যাদি সংরক্ষণ এবং গবাদি পশুর পরিচর্যায় অংশগ্রহণ করে থাকে। খাদ্য উৎপাদন হয় পরিবারকে ভিত্তি করে। বেশ কয়েক জোড়া স্বামী-স্ত্রী ও অল্পবয়সী সন্তানাকীর্ণ বিশাল সংসার ক্রমে এক দম্পতি ও অপরিণত ছেলেমেয়েসহ সরল, ছোট, একক পরিবারে রূপান্তরিত হচ্ছে। সমাজ ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও হিতকর বলে বিবেচিত অনেক নিষিদ্ধ ব্যাপার ও বিধান পরিবারভুক্ত জ্ঞাতি সদস্যদের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করেমুসলিমদের মধ্যে পাত্রপাত্রীর বিবাহ বন্ধনের ক্ষেত্রে রক্তসম্বন্ধীয়, জ্ঞাতি ও পালিত ভাই-বোন নিষিদ্ধ। হিন্দু বিয়েতে নিষেধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পূর্ণজ্ঞাতি সম্পর্ক, অর্ধজ্ঞাতি ও বৈপিত্রেয় সম্বন্ধ এবং পালিত সম্পর্কও। বাংলাদেশে বিয়ে প্রথাগতভাবে পরিবার কর্তৃক আয়োজিত, তবে অনেক ক্ষেত্রে বর বা কনে পছন্দ করার ক্ষেত্রে পিতামাতার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। দেশে অধিকাংশ বিয়ে একগামী এবং এটি গুরুত্ব আরোপ করে একক মূল পরিবার গঠনের ওপর।  [সূত্র: বাংলাপিডিয়া-কে.এম.এ আজিজ]
মাওলানা মুফতি খালেক (রহ:)-এর পরিবার তাঁর সন্তানগণ: মরহুম মাওলানা আব্দুল খালেক তাঁর বড় ভাই মাওলানা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক মরহুম নূর হোসাইন ছিলেন, মাওলানা আশরাফ আলীর সন্তান দুভাইই আলেম ছিলেন সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম সিনিয়ার মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালে তাঁরা উভয়ে সেখানে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত হন পরে বড় ভাই মরহুম মাওলানা নূর হোসাইন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন আর মাওলানা আব্দুল খালেক সে মাদ্রাসায় শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকেন ১৯৬৫ সালে মাওলানা খালেক ইন্তেকাল করেন আলহাজ্ব জহুরুল মওলা তাঁর বড় সন্তান হিসেবে পরিবারের হাল ধরেন তাঁদের পারবারিক সম্পদ কেন্দ্রিক বা অন্য কোন ব্যবসায় কেন্দ্রিব জীবন-যাপন ছিল না ফলে, মরহুম মাওলানা খালেক তাঁর সন্তানগণকে শিক্ষা-দীক্ষার পথেই এগিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাঁর ইন্তেকালের সময় তাঁর সন্তানরা সবাই ছিলেন বিভিন্ন স্তরের পড়াশোনায় নিয়োজিত তাঁর সবার ছোট সন্তান শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কাইসার তখন ছিলেন, মাত্র বছর মাস বয়সী বাবা মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরেছিলেন ইন্জিনিয়ার আলহাজ্ব জহুরুল মওলা তিনি নিজে এগুনোর পাশাপাশি সবাইকে উন্নত জীবনের সোপান ধরে এগুনোর সুযোগ করে দেন এভাবে মূফতি মরহুম খালেকের ছেলে কন্যা সন্তান স্ব-স্ব অবস্থানে পরিবার-পরিজন নিয়ে ভালো আছেন, সবাই তাঁরা এখন প্রত্যেকে স্বতন্ত্র এক একটি পরিবার গঠন করে জীবন-যাপন করছেন গড়ে তুলেছেন তুলছেন তাঁরা নিজ নিজ সন্তান-সন্ততিদেরকে পর্যায়ে তাঁদের পরিবারের পরিচিত এখানে তুলে ধরার প্রয়াস চালাবো
আলহাজ্ব জহুরুল মওলা তাঁর সন্তানগণ: তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, ঢেমুশিয়া জমিদার পরিবার হতে জমিদার মরহুম সুলতান মিয়ার দ্বিতীয় কন্যা জনাবা উম্মে হাবিবা তাঁর সহধর্মীনী  তাঁদের ছেলে মেয়ে তিন সন্তানই উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করেছে, জহুরুল মওলা-উম্মে হাবিবা দম্পতির তাঁদের বড় সন্তানের নাম নাসিম আহমদ সুমন সে সাইপ্রাস মালেশিয়া হতে হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করে ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে স্বপরিবারে তথায় বসবাস করে চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া উপজেলার প্রখ্যাত  চিকিৎসক অধ্যাপক ইমাম উদ্দিন সাহেবের নাতনী বিয়ে করেছে সে জনাব জহুরুল মওলার ছোট সন্তান পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি সম্মানসহ এমএসসি পাশ এবং কম্পিউটার বিষয়ে উচ্চতর কোর্স করে ঢাকায় চাকরি করছে সে চকরিয়া সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যাপক ফরিদ আহমদের ছোট বোন বিয়ে করেছে তার নাম ফয়সল আহমদ ইমন আর আলহাজ্ব জুহুরুল মওলা  দম্পতির একমাত্র কন্যা সবনম সায়েমা তুহিন তুহিন ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেছে সে বিবাহিত তাঁর জীবনসঙ্গী একজন সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা লে: কর্নেল
জনাব হাফেজ মাওলানা মুখতার আহমদ: তিনি শাদি মুবারকের বন্ধনে আবদ্ধ হন, চকরিয়ার পালাকাটার সাব-রেজিস্টার পরিবার হতে তাঁদের পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তান মাওলানা মুখতার সাহেবের সন্তানরা সবাই মেধাবী তাঁর বড় সন্তান মেয়ে তার নাম তাফহিমা হাছিন রোশনী সে এমএ পাশ এবং চকরিয়া উপজেলায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তার স্বামী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা  দ্বিতীয় কন্যা তানজিলা হাছিন রওনক পদার্থ বিজ্ঞানে বিএসসি অনার্সসহ এমএসসি এবং কৃষি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার তার স্বামী একজন কেমিক্যাল ইন্জিনিয়ার তৃতীয় কন্যা তওসিফা হাসিন তজল্লী এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটি হতে অর্থনীতি বিষয়ে বিএসএস সম্মানসহ এমএসএস পাশ তার স্বামী বুয়েট হতে পাশ করা একজন ইন্জিনিয়ার বর্তমানে তারা দুজনেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিইচডি করছে মাওলানা মুখতার আহমদ দম্পতির চতুর্থ কন্যা কারিশমাকে চট্টগ্রাম শহরে বিয়ে দিয়েছেন তাঁদের আরেক কন্যাও চট্টগ্রাম শহরে স্বপরিবারে কসবাস করছে তাসকিয়া হাসিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইকোলজি বিষয়ে বিএসসি (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছেলে মিসবাহ উদ্দিন চট্টগ্রাম শহরে ব্যবসায় চাকরি করে তাঁদের ছোট ছেলে মোহাম্মদ এমজ উদ্দিন নাজাত মোহাম্মদ ওয়াকার উদ্দিন; এখনও পড়াশোনা করছে কলেজ-স্কুল লেভেলে
মরহুম এনামুল হক: তাঁর সহধর্মীনী কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার মরহুম মাওলানা নুরুল কবির মেয়ে মরহুম মাওলানা নূরুল কবির উখিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, কাজী সাব-রেজিস্টারার ছিলেন মরহুম এনামুল হক দম্পতির  মেয়ে ছেলে তাঁদের বড় মেয়ে হিমিকা শারমিন ব্যবস্থাপনা বিষযে বাউলী বিবিএ অনার্স এমবিএ সে তাঁর ফুফাত ভাই জনাব আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল-নোমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে তাঁর স্বামী একজন ব্যবসায়ী তাদের পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তান আছে তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা তানি বিয়ে দেয়া হয়েছিল পেকুয়া উপজেলায় পরে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলোক গমন করে তার একটি পুত্র সন্তান আছে
আলহাজ্ব স্বামীম জান্নাত সেতারা: তাঁকে শাদি মুবারকের বন্ধনে আবদ্ধ করা হয়েছিল সাহারবিলের মরহুম মাস্টার আলহাজ্ব আজিজুর রহমানের সাথে তাঁর মরহুম জীবনসঙ্গী স্বামী ছিলেন সাহারবিল আনোয়ারুল উলুম সিনিয়ার মাদ্রাসা সাহারবিল বিএমএস হাই স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক তিনি ২০১০ সালে পরলোক গমন করেন মরহুম মাস্টার আজিজ এবং আলহাজ্ব শামীম জান্নাত দম্পতির সন্তান; ছেলে মেয়ে তাঁদের বড় সন্তান জনাব আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল-নোমান পলাশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিএসএস সম্মানসহ এমএসএস পাশ করে ব্যবসায় করছেন দ্বিতীয় ছেলে তাঁদের, আব্দুল্লাহ আল-মামুন মামুর সে হিসাববিজ্ঞান বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিবিএ সম্মানসহ এমবিএ পাশ বর্তমানে সে জনতা ব্যাংক লিমিটেড, লোহাগাড়া শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার মরহুম আজিজ দম্পতির প্রথম কন্যা শাযেমা জান্নাত পরাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমি তাঁর স্বামী তাঁদের দ্বিতীয় কন্যা রায়হান জান্নাত পাপড়ি চকরিয়া আর. কে. নুরুল আমিন চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক তাঁদের ছোট কন্যা সন্তান নওশীন আইআইইউসি-তে ইংরেজি বিষয়ের ছাত্রী সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, সরকারী কলেজের লেকচারার জনাব ইমরানুল হক মুকুলের সাথে জনাব মুকুল নোয়াখালীর সেনবাগ সরকারী কলেজে কর্মরত তিনি বিএসএস শিক্ষা ক্যাডার (৩৬ তম)-এর সদস্য
আলহাজ্ব সালেহা বেগম: তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সাতকানিয়া উপজেলার সাবেক ব্যাংকার শিল্পপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলামের সাথে তাঁদের আছে পুত্র সন্তান কন্যা বড় সন্তান তাঁদের মেয়ে তার নাম সালম ইসলাম রিফাত তাঁর স্বামী একজন অর্থনীতিবিদ, নাম . মুহাম্মদ ইব্রাহীম সে আইএমএফ- কর্মরত তাদের ২সন্তান ১টি ছেরে ১টি মেয়ে আলহাজ্ব সালেহা-নূরুল ইসলাম  দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান পুত্র তার নাম রুবাইত হাসনাত রুবাইত একজন প্রকৌশলী স্বপরিবারে কানাডা প্রবাসী তাঁদের সন্তান ইবতেসাম ইসলাম নিশাত এবং তাঁর স্বামী একজন ব্রবসায়ী আর সবার ছোট নুহাস কানাডা প্রবাসী
ডা: ছরওয়ার আলম বাহাদুর: তিনি বুলগেরিয়ায় পড়াশোনা করেন এবং সেখানকার এক নাগরিককে বিয়ে করেন বলে জানা যায় এবং তাঁর ১টি সন্তানও আছে
শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: কাইসার: তিনি পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন জনাব মুসরাত জাহান পিনুর সাথে ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকান্ডে শহীদ হন তাঁর কন্যা সন্তান আছে বড় মেয়ে কারিসা মুসরাত সম্প্রতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে, ব্যারিস্টার সমীর রহমানের সাথে ব্যারিস্টার সমীর অধ্যাপক সাদেকা হালিম-এর একমাত্র সন্তান শহীদ কাইসার-পিনু দম্পতির ছোট মেয়েটির নাম সাইকা সে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা করছে
মরহুম মুফতি আব্দুল খালেক আলহাজ্ব মাজেদা বেগম দম্পতির উপরোক্ত সন্তান-সন্ততি সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে মেধাবী প্রতিভাবান তাঁদের সুযোগ্য উত্তরসূরি, তারা সকলেই তাঁদের বড় সন্তান ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা নামে যেমন জহুর (মোতি/হিরা), তেমনি মা-বাবার আশীর্বাদ ধন্য একজন কিংবদন্তী তুল্য মানুষ তিনি অতি পরিশ্রম এবং পরম যত্নের সাথে সবাইকে এগিয়ে যাওয়ার পথ তৈরিকরণ এবং হিরে-মোতি-জহুর হয়ে উঠার পথটি সুগম করে দেন তাঁর বাবা-মা তাঁকে সে পথে হাঁটার সুযোগ করে দেন তিনিও তাঁদের অবদানের উপযুক্ত জবাব দিয়ে গেছেন আবার তারা প্রত্যেকেই সুখে-দু:খে পরস্পরের পাশে থেকেছেন, থাকেন, সদা-সর্বদা শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কাইসার জীবিত থাকলে হয়তো পরিবারটি আরও শক্তি, সাহস এবং দীপ্ত পায়ে এগিয়ে যেতো, বৈ কি!(ক্রমশ:)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন