শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

Engineer Zahurul Mowla: A Legendary, Family Father & Successful Personality


ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা: জীবন্ত এক
 কিংবদন্তী-পরিবার কর্তা সফল মানুষ
(৪র্থ পর্ব)
আলহাজ্ব জহুরুল মওলা ও আজকের প্রজন্ম: তিনি আধুনিক। তাঁর সমসাময়িক কালে তিনি ছিলেন, অত্যাধুনিক। আজকের প্রজন্ম তাঁর চেয়েও চিন্তা-চেতনা-মেধা-মনন-সংস্কৃতি চর্চায় আধুনিক এবং অন্যভাবে হিসেবী। তিনি খুব গঠনমূলক-বাস্তবিক চিন্তা-চেতনার মানুষ। কিন্তু আজকের প্রজন্মের তাঁর একান্তই নিজ সন্তানরাসহ পরিবারের অন্যরা ভাবেন, অন্যকিছু, অন্য রকম, ভিন্নভাবে। আবার তাঁরা যেভাবে মা-বাবা ও মুরব্বীগণের ছায়া থেকে বেরিয়ে না এসে নিজেদের মত করে যতটা পারেন এগিয়েছেন। আজকের তারুণ্য অন্য এক প্রজন্মের মানুষ, ডিজিটাল প্রজন্ম এবং কিছুটা আত্নকেন্দ্রিক। আগে পরিবারের সকল সদস্য পূর্বপুরুষগণের পেশা বা ধারায় একজোট হয়ে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। একসাথে যৌথ পরিবারে সুখে-দু:খে মানিয়ে নিয়ে পরস্পর সহানুভূতি-সম্প্রীতিমূলক পরিবেশে বসবাস করে করেই জীবনকাটিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন সমাজ বাস্তবতা ও পেশাগত বৈচিত্রতা পরিবারের সদস্যগণের মাঝেও জীবনবোধে ব্যাপক পরিবর্ন সাধিত হয়ে গেছে। ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা, সেই ষাটের দশকের মাঝামাঝি হতেই তাঁর ছোট ৬ ভাই-বোনকে তাঁদের মরহুম মা আলহাজ্ব মাজেদা বেগমের সহযোগিতায় নিজ পরিকল্পনায় গড়ে তুলেছেন। এ এক্ষত্রে তাঁর জ্যেঠামনি মরহুম মাওলানা মাস্টার নূর হোসেনের সন্তানগণের সাথে পাল্লা দিয়েই বড় হতে হয়েছে, প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছে, তাঁদের সবাইকে। তাঁর জ্যেঠত ভাই-বোনগণও মেধাবী এবং প্রতিষ্ঠিত। দুই পরিবারই প্রথমদিকে সমানতালে এগিয়েছেন। ক্ষেত্র বিশেষে মুফতি খালেকের সন্তানগণ প্রতিটি ক্ষেত্রে বেশি এগিয়েছেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর সন্তানগণ তাঁর বড় ভাই মরহুম মাস্টার নূর হোসেনের পরিবার বা সন্তানগণকে পেছনে ফেলে এগুতে গিয়ে প্রতিবেশি দুই পরিবারে সূক্ষ্নাতিসূক্ষ্ন এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অনেক বৈরি এবং প্রতিকূলতাকে জয় করে করে সামনে চলতে হয়েছে, প্রতিষ্ঠা খুঁজতে হয়েছে। আবার তাঁর পূর্ব পূরুষগণও যেহেতু আলেম-ওলেমা ছিলেন, তাঁরা (মাওলানা নূর হোসেন এবং মুফতি খালেক) দুভাইও আলেম ছিলেন। দুই ভাই পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন, দুই এলাকার প্রভাবশালী এবং ঐতিহ্যবাহী দুই পরিবারের সাথে। চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের জমিদার ও সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তিত্ত্ব  মরহুম ফেরদৌস মিয়া পরিবার হতে শাদি মুবারক করেন বড়জন মাস্টার নূর হোসেন। আর ছোটজন মরহুম মুফতি আব্দুল খালেক (জনাব জহুরুরুল মওলার পিতা)-এর স্ত্রী ছিলেন মরহুম আজিজুর রহমান (লালা আজিজ) পরিবারের কন্যা। দুটি পরিবারই ঐতিহ্যবাহী ছিলো। দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মুফতি আব্দুল খালেকের সন্তানগণ সবাই বেশ উন্নতি করতে পারলেও, মরহুম মাস্টার নূর হোসেনের সন্তানগণ সবাই একই মানের হতে পারেন নি, বলা যায়। আবার দুই পরিবারের সদস্যগণের মাঝে তাঁদের বাবা-মায়ের জীবদ্দশায় খুব মিল-মিশ বজায় থাকলেও, পরে তা ধীরে ধীরে বৈরি রূপ ধারণ করে আছে। আবার মাস্টার নূর হোসেন তাঁর ছোটজন মুফতি খালেকের চেয়ে বয়সও বেশিও পেয়েছেন। তিনি রাজনীতিক হিসেবেও বেশ পরিচিত ছিলেন, আলোচিত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি অনুগত ছিলেন। ১৯৮১ সালে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ড. কামাল হোসেন নির্বাচনী প্রচারনা চালানোর জন্য কক্সবাজার আসেন। এসময় আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাঁর সফরসঙ্গী ছিলেন। চকরিয়া সদরে চিরিংগায় এক জনসভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সে উপলক্ষে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেন ট্রাক গাড়ির উপর তৈরিকৃত জনসভামঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন। সে অবস্থায় মরহুম মাস্টার নূর হোসেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মঞ্চে উঠে দোয়া করেছিলেন। এ বিষয়টি তৎকালিন চকরিয়ায় বেশ আলোচিত ঘটনা ছিলো। আমি নিজেও সেই ছোট্ট বয়সে চকরিয়া সদরে এসে জনসভাটিতে যোগদান করেছিলাম। এভাবে আশির দশকের প্রথমার্ধে মরহুম নূর হোসেন মাস্টার চকরিয়ায় একজন আওয়ামী লীগ সমর্থক মাওলানা হিসাবে সুপরিচিত ছিলেন। আর মুফতি আব্দুল খালেক ১৯৬৫ সালেই পরলোকগমন করেন এবং তিনি তেমন আলোচিত মানুষ বা রাজনীতিক না হলেও একজন ভালো আলেম ও মুফতি হিসাবে খ্যাত ছিলেন। দু‘ভাইই তাঁদের সন্তানগণকে আলোকিত ও শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সচেতনভাবে চেষ্টা করেছেন। আর খুব সম্ভবত: দুই পরিবারেই তাঁদের জীবদ্দশায় এবং পরবর্তী সময়েও ঐক্য ও মিল-মিশ বজায় ছিলো। কিন্তু একটা পর্যায়ে তাঁদের সন্তানরা বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় এবং পারিবারিক সহায়-সম্পত্তি ভাগ-বন্টন নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দেয়। সেটা এখনও আছে। ক্ষেত্র বিশেষে এ তীক্ষতার সম্পর্কটি বেশ জটিল ও শত্রুভাবাপন্ন এবং তীব্র আকার ধারণ করে, বৈ কি! যাহোক, জনাব জহুরুল মওলা তাঁর কালের একজন গ্রগামী মানুষ তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর সহোদরগণকে যেভাবে একচ্ছত্র নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন, তা তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম, এমন কি তাঁর ভাই-বোনরাও তাঁর মতামত সহজভাবে নিতে পারেন নি। ক্ষেত্রবিশেষে তাঁর ছায়া হতে সরাসরি বেরিয়ে গিয়ে নিজস্ব পরিমন্ডল গড়ে তুলে তাঁরা এগিয়ে গেছেন, আবার তাঁকেও পুরোপুরি এড়িয়ে যান নি। কারণ তিনিই তাঁদের বাবা-মায়ের মূল ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সুরযাগ্য ‍উত্তরাধিকার পরিবার কর্তা। আরবী প্রবাদ ‘কুল্লু শাইয়িন ইয়রজিয়োও ইলা আসলিহি’ অর্থাৎ সবকিছু মূল উৎসের দিকে ধাবিত হয়।” যে যত কিছুই করুন বা যে যেখানেই পৌঁছে যান না কেন, বাঙালির নাড়ির টানে এক সময় বাবা-মায়ের ভিটিতে তাঁকেই আসতেই হয়। যেখানে বটবৃক্ষ সম একজন ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা থাকলে, তাঁকে এড়িয়ে যাওয়া তো অনেক দূরের ব্যাপার, তাঁর ছায়া না মাড়িয়ে কারও এক পা দু‘পা যাওয়ার সক্ষমতাও তেমন কারও হয় নি, এমনটা মনে হয় আমার, আজও। এমন দুয়েকটি দৃষ্টান্ত এখানে উল্লেখ করতে চাই। আবার মনে মনে ভয়ও পাচ্ছি যে, বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর। কারণ তাঁদের মধ্যে বৈরিতাই থাকু ন না কেন,তাঁরা তা প্রকাশ পাক সেটা মেনে নিতে পারেন না। আবার কোন না কোনভাবে তা হয়ে গেলে, তা তাঁদেরকে মেনেও নিতে হয়, ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়েই যায়। এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, তাঁর (জনাব জহুরুল মওলা) প্রতিবেশি, চাচাত-জ্যোটত ভাই-বোন এবং আপন ভাই-বোন এবং তাঁরদের পরের প্রজন্মের পরিবারের সদস্যগণের সাথে। এটা সব পরিবারেই হয়, হচ্ছে, ঘটে মানব বসতির সব রাষ্ট্রে ও সমাজে। এর মধ্যদিয়ে মানব সমাজ এগিয়েচে, এগিয়েছে পরিবার ও ব্যাক্তিগণ। বাংলাদেশের ডাকসাঁইটে একজন আমলা, গবেষক এবং মুক্তিযোদ্ধা বুদ্ধিজীবী ড. আকবর আলী খান তাঁর আলোচিত বই ‘ডিসকভারি অব বাংলাদেশ’-এ বিশ্লেষণ করে পান যে, ‘বাঙালি মানব সন্তানরা এককভাবে অনেকদূর এগিয়ে যান, সফল হন, কিন্তু সামষ্টিকভাবে বা সাংগঠনিকভাবে তেমন সাফল্য পান না।” কথাটা উন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা পরিবারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য মনে হয়। ঠিক এমনটাই আমি আমার একটি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছিলাম, শহীদ লে: কর্নেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কাইসারের জীবনীর পান্ডুলিপি তৈরি করার সময়। এ পর্যায়ে সেখানহতে কিছু অংশ উদ্ধৃতি দিচ্ছি; “মরহুম মুফতী মাওলানা আব্দুল খালেক ও মরহুমা আলাহাজ্ব মাজেদা বেগম দম্পতি; তাঁদের সন্তানদেরকে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তোলে বাংলাদেশের অন্যতম একটি অলোকিত পরিবার করে রেখে গেছেন। আলোকিত এ পরিবারের সদস্যগণ হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগুচ্ছিল যখন, বাড়ির আশ-পাশের কিছু আপন ও প্রতিবেশি মানুষ তাঁদের চলার পথে অনেক বাধা-বিপত্তি সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়েছে, এখনও চালাচ্ছে। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা সহায় থাকলে, শত্রুরা যতই চেষ্টা করুক তাতে কিছু যায়-আসে না। শত্রুরা পরাস্ত হবেই। এ পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে অনেক কষ্টে-শিষ্টে এ পর্যায়ে আসতে হয়েছে। কখনও তাঁদের উন্নতি-অগ্রগতি থেমে যায় নি। ব্যাক্তিগতভাবে লে: কর্ণেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কায়সার, পদে পদে চরম সব শত্রুদের মোকাবেলা করে করে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁকে চরম কিছু বৈরি পরিবেশ ও শত্রুকে মোকাবেলা করতে হয়েছে, সব সময়। তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি করার অপচেস্টা করেছে, একটি মহল তাঁর জীবদ্দশাতেই। বর্তমানে একটি চক্র প্রবলভাবে চেষ্টা করছে; তাঁর স্ত্রী-কন্যা এবং তাঁর বড় ভাইদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি করার। এ চক্রের মধ্যে যেমন রয়েছে, রক্ত সম্পর্কের কিছু মানুষ, রয়েছে প্রতিবেশি ও একদা শহীদ কায়সারের নিকট আশ্রয়-প্রশ্রয় পেয়েছিল, এমন কিছু মানুষও। তিনি যখন টেকনাফ বি.ডি.আর (বর্তমানে বিজিবি) ক্যাম্পের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন খুব সুনাম হচ্ছিল তাঁর। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তবর্তী এ টেকনাফ উপজেলা মাদক ব্যাবসায়ি-চোরাচালানীদের স্বর্গরাজ্য। তিনি সেখানকার বেপরোয়া চোরা কারবারি ও মাদক ব্যবসায়িদের অনেকটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলেন, বিডিআর কমান্ডার হিসাবে। তাঁর টেকনাফ বিজিবি কমান্ডারের দায়িত্ব পালনকালিন সময়ে ১/১১/২০০৭ খ্রি: তারিখে সেনা বাহিনী নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। সে সময়কার বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমদ নিজের উদ্যোগে লে: কর্ণেল আবু মুসা মো: আইয়ুব কায়সারকে পিলখানা সদর দপ্তরে তাঁকে নির্মাণ প্রকৌশল শাখার চীফ ইন্জিনিয়ার পদে বদলী করে নিয়ে যান। তিনি টেকনাফে দায়িত্ব পালনকালে কতিপয় অতি উৎসাহি নিকটজন তাঁর নামে আজে-বাজে অভিযোগ পাঠাতে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে (মরহুম কায়সারের), তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট। এসব নিয়ে যাচাই-বাছাই বা তদন্তও চলে। তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোন কিছু প্রমাণ না হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারি উল্টা শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিল। খুব ছোট্ট বয়স হতেই এভাবে বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে, শহীদ কায়সার ও তাঁর পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে। তাঁর বড় ভাই ডাক্তার ছরওয়ার আলম বাহাদুর আজ বেঁচে থেকেও, না থাকার মত। তিনি কত মেধাবী ও প্রতিভাবান একজন মানুষ, তিনি হয়ত স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারলে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেলে, নিজেকে তা প্রমাণ করতে সক্ষম হতেন। জানা যায়, জনাব ছরওয়ার আলমকে জাদু-টোনার ফাঁদে ফেলে তাঁর মেধা-বুদ্ধি অচল করে দেয়া হয়েছে। তিনি আজ একাকী ও নি:সঙ্গ দিনাপাতি করছেন, শত্রুদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে, তিনি। এখন চিহ্নিত একটি শত্রু পক্ষ পরিবারটিকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাঁদের (শহীদ কায়সার পরিবার) ভিটা-বাড়ি নিয়ে টানাটানি শুরু করেছে, এ অপশক্তিটি। শহীদ কায়সারের সহজ-সরল ও স্বামী হারানোর শোকে বিপর্যস্থ সহধর্মীনী জনাব মুসরাত জাহান পিনুকে বিভ্রান্ত করে সংশ্লিষ্ট চক্র ইতোমধ্যে তাঁর বয়োবৃদ্ধ ও অসুস্থ বড় ভাইদেরকে চরমভাবে অপদস্থ করার জন্য নিত্য সক্রিয় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। মহান আল্লাহ্ তায়ালা সহায় আছেন বলে এ পর্যন্ত মরহুম মুফতী আব্দুল খালেক-এর সন্তানদেরকে পরাস্ত করা সম্ভবপর হয় নি। কিন্তু তাঁরা সাময়িকভাবে কত অসহায়ভাবে এক একটা দিন কাটাচ্ছেন, যাঁরা তাঁদের নিকটজন তাঁরাই শুধু বিষয়টি টের পাচ্ছেন। সামাজিক-পারিবারিক মান-মর্যাদায় শহীদ কায়সার পরিবারের ধারে-কাছেও ঘেঁষতে পারেন না, এমন কিছু ভূমিদস্যু খ্যাত দুষ্ট চক্র সারাক্ষণ তাঁর বড় ভাইদেরকে টেনশনে ফেলে দিয়েছেন। বয়োবৃদ্ধ ও স্বানামধন্য প্রকৌশলী আলহাজ্ব জহুরল মওলা, শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়া সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্রাক্তন এম.ডি জনাব এনামুল হক (বর্তমানে মরহুম) এবং জনাব আলহাজ্ব হাফেজ মুখতার আহমদকে; শহীদ কায়সারের পারিবারিক উত্তরাধিকার সম্পদ দাবি নিয়ে বিরোধীয় মামলা-মুকদ্দমায় জড়িয়ে বর্তমানে চরমভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা যেন শহীদ কায়সারে মৃত আত্নাকেও শান্তি দিতে না চাওয়ার নামান্তর। এমন একটি পরিস্থিতি যারা সৃষ্টি করছে, তাঁরাও কখনও স্বস্তি-শান্তি পাবে কিনা, ভেবে দেখা উচিত। চকরিয়া পৌর এলাকার জমির দাম বেড়ে যাওয়ায়, শহীদ কায়সারের পৈত্রিক ভিটাটিও টানাটানি করছে যারা টাকার লোভে, তারা হয়ত একদিন টের পাবে, কাজটি ঠিক হচ্ছে না। বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে পরিবারে পরিবারে শত্রুতা লাগিয়ে দিয়ে একদল মানুষ সব সময় আনন্দ পায়। তাঁরা আনন্দ ও মজা খোঁজে; ঘরে ঘরে, বউ-শাশুড়ি, জায়ে-জায়ে, ভাসুর-ভাই বৌ-গণের মাঝে আগুন লাগিয়ে দিয়ে। আর কিছু মানুষের টাকার লোভ তাদেরকে এত হীন স্তরে নামিয়ে দিয়েছে যে, তাদের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়ছে। এ ধরণের প্রবণতা যুগে যুগে ছিল। এখনও আছে, সর্বত্র। আর তা স্থায়ী ও সফর হয় না কখনও। শহীদ কায়সার পরিবারকে ঘিরে চলমান চল-ছাতুরিও সফল হবে না। মহান আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর কুদরতির হাত দিয়ে মরহুম মুফতী মাওলানা আব্দুল খালেক ও মরহুমা আলাহাজ্ব মাজেদা বেগম দম্পতি সন্তানদেরকে মর্যাদার সাথে রক্ষা করবেন, এটাই কাম্য।” এখানে উল্লেখ্য যে, ইন্জিনিয়ার জহুরুল মওলা সাহেব এবং তাঁর জীবিত ভাই-বোনগণ যদি আরেকটি গুরুত্ব দিয়ে এ ধরণের ঘটনার সূত্রপাত ঘটার সময়ই  আরেকটু সাবধানতা অবলম্বন করতে সক্ষম হতে পারতেন বা ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে তা সমাধান করতে পারতেন, তবে হয়তো তা এতদূর গড়াতো না।                                                                                                                                                           
(ক্রমশ:)
*মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্
সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার
কুতুবদিয়া, কক্সবাজার

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন