বাংলাদেশের
প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে শ্রেণি পাঠদান কাযর্ক্রম
মাল্টি-মিডিয়া
ব্যবহারের উপকারিতা-অপকারিতা:
একজন উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ভাবনা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বাধীন
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ‘ভিশন ২০২১’ ঘোষণা করে ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগের
নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম জনপ্রিয় ভিশন বা রূপকল্প ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
অনেকেই তখন এ ঘোষণাকে শস্তা শ্লোগান বলে অভিহিত করার প্রয়াস চালান। কিন্তু ডিজিটাল
বাংলাদেশ আজ ২০১৭ সালে এসে এটি একটি বাস্তবতা। এটি স্বপ্নচূড়ায় পৌঁছার কল্পলোক নয়,
আর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি, ভারতের বাঙ্গালুর বা দক্ষিণ কোরিয়ার গিগা
আইল্যান্ডের মত বেশকটি আইটি পার্ক পেতে যাচ্ছি আমরা বাংলাদেশে। ডিজিটাল আইল্যান্ড ইমজার
মত মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম
সাফল্য সোপান। আগামীকাল ২৭ এপ্রিল/২০১৭ বৃহস্পতিবার এ প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা
করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কন্ফারেন্সের মাধ্যমে এর শুভ উদ্বোধন
করতে যাচ্ছেন। আমরা কক্সবাজারবাসী পেতে যাচ্ছি, একটি গিগা আইল্যান্ড ইমজা, যার অপর
নাম মহেশখালী ডিজিটাল আইল্যান্ড। যাহোক, আমি এখানে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি
বা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে শ্রেণি শিখন-শেখানো কার্যক্রম নিয়ে আলোকপাত করব। বাংলাদেশের
প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তি
ভিত্তিক কলা-কৌশল প্রয়োগ চলছে বিগত ৬/৭ বছর ধরে। বিশেষত: প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে সারাদেশে
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষক আইসিটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে ও নিজস্ব প্রচেষ্টায় শিখন-শেখানো
কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রত্যকটিতে মাল্টিমিডিয়া
বিতরণ করা হচ্ছে। চলতি অর্থ বছর ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে হয়ত ৬৪ হাজার সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সবকটিতে লেপটপ, প্রজেক্টর ও স্ক্রিন পৌঁছে যাবে।আর প্রত্যেক বিদ্যালয়ে
অন্তত: ৪ জন করে শিক্ষক/শিক্ষিকা আইসিটি প্রশিক্ষণ পেয়ে যাবেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকগনকে
উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে শিক্ষক বাতায়ন কোলা হয়েছে। শিক্ষকগণ এ ওয়েভসাইটে হাজার হাজার
ভিডিও আপলোড করে রেখেছেন। দেশ-বিদেশে যে কোন প্রান্তে এ ভিডিওগুলো সংগ্রহ ও ব্যবহার
করা যায়।এভাবে চলতে থাকলে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে শিক্ষাঙ্গনে ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার
করে শ্রেণি পাঠদানের ক্ষেতে একটি মহা বিল্পব সাধিত হবে। আর শিক্ষার মানে আন্তর্জাতিকতার
ছোঁয়া লেগে সোনার বাংলায় সোনার মানুষ দলে দলে তৈরি হয়ে যাবে। নতুন প্রজন্ম হয়ে যাবে
বিশ্ব মানের উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত মানব সম্পদ। সেদিনের অপেক্ষায় আমরা সবাই অপেক্ষমান।
মহেশখালীর প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায়
আইসিটি-এর প্রয়োগ: বর্তমানে মহেশখালী উপজেলায় ৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। বিদ্যালয়বিহীন
গ্রামে আরও ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলো নির্মাণাধীন। আগামী
বছরের শুরুতে এগুলোতে শ্রেণি পাঠদান কাজ শুরু হবে। মোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্রালয়ের
সংখ্যা হবে ৭১ টি। আরও ১০ টি গ্রামে নতুন বিদ্যালয় স্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে।এখানকার
২৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রদান করা হয়েছে। কর্মরত ৪০০ জন শিক্ষক
শিক্ষকার মধ্যে ১২০ জন মত শিক্ষক/শিক্ষিকা আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।বিদ্যুৎ
বিভ্রাট এবং ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায়না বলে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পুরোপুরি চালিয়ে
যাওয়া কষ্টকর হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হলে এবং ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী
প্রকর্পের আওতায় উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপিত হলে মহেশখালী প্রত্যেক বিদ্যালয়ে
ডিজিটাল কন্টেন্ট ব্যবহার করে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চালু করা যাবে।পাল্টে যাবে প্রাথমিক
শিক্ষা চিত্র। সকল শিশুর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ নিশ্চিত হবে, এত কোন সন্দেহ
নেই।
মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার ও সনাতন
পদ্ধতিতে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার পার্থক্যসমূহ:
সনাতন পদ্ধতিতে প্রাঠদান
|
ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান
|
-ব্লাক
বোর্ড বা হোয়াইট বোর্ড এবং চক-ডাস্টার ব্যবহার করে পাঠদান চলে।
|
-লেপটপ,
প্রজেক্টর ও স্ক্রিন ব্যবহার করে পাঠদান করা হয়।
|
-বই
দেখে দেখে পাঠদান করা হয়।
|
-ভিডিও
চিত্র বা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়।
|
-সাধারণ
উপকরণ ব্যবহার হয়।
|
-ভিডিও
ভিত্তিক বাস্তব উপকরণ প্রদর্শন করা হয়্।
|
-বেশিরভাগ
শিশুর শিখন ফল বা যোগ্যতা অর্জন হয় না।
|
-প্রত্যেক
শিশুর শিখন অনেকটা নিশ্চিত হয়।
|
-শিক্ষক
কেন্দ্রিক শিখন-শেখানো চলে।
|
-শিক্ষার্থী
কেন্দ্রিক পাঠদান চলে।
|
-সনাতনী
পড়াশোনা বা শিখন-শেখানার চর্চা করা হয়ে থাকে।
|
-আধুনিক
ধ্যান-ধারণার আলোকে শ্রেণি শিখন-শেখানো চলে।
|
-যোগ্যতা
ভিত্তিক প্রাথমিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা পুরোপুরি সম্ভবপর হয় না।
|
-তথ্য-প্রযুক্তির
ব্যবহার কাজটি অনেকটা সহজতর করে তোলে।
|
-সংশ্লিষ্ট
পাঠের বিষয়বস্তু ও শিখন ফল শিক্ষার্থীরা ভালভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারে না।
|
-মাল্টিমিডিয়া
ব্যবহার করে শ্রেণি পাঠদান করা হলে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিখন ভালভাবে হয়।
|
-শিক্ষার্থীরা
তেমন আনন্দ পায় না।
|
-প্রত্যেক
শিক্ষার্থী তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করা হলে আনন্দ পায় এবং ভালভাবে শেখার আগ্রহ পায়।
|
-শ্রেণিকক্ষে
আনন্দমুখর ও স্থায়ি শিখন ফল অর্জিত হয় না তেমন।
|
-মাল্টিমিডিয়া
ব্যবহারের ফলে শ্রেণিকক্ষে শিখন-শেখানো আনন্দমুখর হয় ও স্থায়ি শিখন ফল অর্জিত হয়।
|
-শিশুদেরকে
বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলা অসম্ভবপর।
|
-তথ্য-প্রযুক্তি
ব্যবহারে শিশুরা বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে ওঠার সুযোগ পায়।
|
-
|
-
|
সর্বেপরি বলা যায়, সনাতন পদ্দতির
শিখন-শেখানো এবং মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে পাঠদানের মাঝে ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত
হয়। বিশ্বব্যাপি শিখন-শেখানা এবং মূল্যায়ন পদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্নতন সাধিত হয়ে গেছে।
পাশের দেশ ভারত-শ্রীলংকায় অনেক আগেই শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার শুর করা
হয়। এশীয় দেশগুলোর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে সাফল্য পেয়েছ।
আর সারাবিশ্বে ফিনল্যান্ড প্রাথমিক শিক্ষায় শীর্ষে অবস্থান করছে। সেদিন বেশি দূরে নয়,
একদিন বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাও দেখিয়ে দেবে আমরাও পারি। আর মহেশখালী উপজেলার প্রাথমিক
শিক্ষা ব্যবস্থা আগামী ৪/৫ বছরে দেশে এক নম্বর অবস্থানে চলে যাবে, এটাই কাম্য।
*মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্; উপজেলা
শিক্ষা অফিসার, মহেশখালী, কক্সবাজার।
‘ডিজিটাল
আইল্যান্ড মহেশখালী’: শেখ হাসিনার যুগান্তকারি পদক্ষেপ
প্রাথমিক
স্তরে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার ও শ্রেণি পাঠদান
কার্যক্রম:
একটি পর্যবেক্ষণ
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা এখন
আর সেই যুগে নেই। বিশ্ব দরবারে এ স্তরের শিখন-শেখানো কার্যক্রমের মানে উন্নত প্রযুক্রির
ছোঁয়া একে আগামী ৫/১০ বছরে অনেক উপরে নিয়ে যাবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ যুগান্তকারি পদক্ষেপের সূচনা
ঘটালেন। আর এর নেপথ্যে রয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বনামধন্য তথ্য-প্রযুক্তিবিদ
সন্তান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যত পথরেখা এবং উন্নত জাতি গড়ে তোলার স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাংলাদেশ
সরকারের মাননীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়। আরও আছেন তথ্য-প্রযুক্তি
মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিন্ত্রী জনাব জুনায়েদ আহমদ পলক। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার
ধারাবাহিকতায় ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী’ কার্যক্রমের সূচনা ঘটতে যাচ্ছে শীঘ্রই।
আগামী ২৭/০৪/২০১৭খ্রি: তারিখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডি কন্ফারেন্সের মাধ্যমে
এ প্রকল্পের শুভযাত্রা ঘটাবেন। উল্লেখ্য যে, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন,
সোনাদিয়া ও ধলঘাটায় অর্থনৈতিক জোন স্থাপন, মৈনাক পাহাড়ে এলএনজি স্টেশন তৈরিসহ হাজার
কোটি টাকা ব্যয় সাপেক্ষ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম এরিমধ্যে মহেশখালীর
মাটিতে উন্নয়নের মহা সোপান সৃষ্টি করে দিয়েছে। আইওএম(আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা) এবং
কে.টি কর্পোরেশন(কোরিয়ান টেলিকম) যৌথভাবে ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন
করছে। এ প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সুযোগ্য কন্যা
শেখ রেহেনার বউ মা মিস পেপ্পি সিদ্দীক। যাহোক, দক্ষিণ কোরীয় প্রত্যন্ত দ্বীপে সেদেশের
সরকার কতৃক গড়ে তোলা আইটি পার্ক গিগা আইল্যান্ডের আদলে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট
কানেকটিভিটি ব্যবহার করে মহেশখালী উপজেলায় সর্বস্তরের জনগণের দোর গড়ায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
কৃষি ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ সকল ধরণের সেবা পৌঁছে দেয়ার এক অনন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছে
বর্তমান বাংলাদেশ সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে মহেশখালী পৌরসভা, বড় মহেশখালী ও ছোট
মহেশখালী ইউনিয়নে এর কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে চলবে। ক্রমান্বয়ে পুরো মহেশখালী দ্বীপকে
প্রকল্পভুক্ত করা হবে। বিগত ১৫/০৪/২০১৭খ্রি: তারিখ ও গত ২০/০৪/২০১৭খ্রি: তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মান্যবর সচিব জনাব সুবীর কুমার
চৌধুরী এবং অতিরিক্ত জনাব মো: হারুনুর রশিদ মহেশখালী সফর করে উদ্বোধনী কর্মসূচির সার্বিক
প্রস্তুতি নিশ্চিত করেন। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন আসন্ন
২৭ এপ্রিলে/১৭ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ আন্তরিক প্রস্তুতি
নিচ্ছে।
ডিজিটাল
আইল্যান্ড কর্মসূচি এবং প্রাথমিক শিক্ষা স্তর: মহেশখালী উপজেলার একটি
(০১টি) পৌরসভা এবং আটটি (০৮টি) ইউনিয়নের মধ্যে পৌরসভা এবং ছোট ও বড় মহেশখালী ইউনিয়নকে
ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী প্রকল্পভুক্ত করা হয়েছ। এর অংশ হিসেবে প্রাথমিক স্তরে দশটি
(১০টি) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ০২টি সরকার নিয়ন্ত্রিত সিনিয়র মাদ্রাসাকে উচ্চ
ক্ষমতার তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে দূর শিক্ষণ প্রোগ্রাম সম্প্রচার করার পদক্ষেপ গ্রহণ
করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো; ১. মহেশখালী মডেলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
২. বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩. আদিনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪. সিপাহীর
পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫. পশ্চিম ফকিরাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬.
ফকিরাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭. গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮. মুন্সিরডেইল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯. নতুনবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১০. মধূয়ারডেইল
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর মাদ্রসা দুটি হলো; পুটিবিলা তৈয়বিয়া ফিাজিল মাদ্রাসা
ও আহমদিয়া তৈয়বিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। ‘জাগো ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ সংস্থার সহায়তায় ০৩টি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ; যথাক্রমে আদিনাথ, বার্মিজ ও ফকিরাঘোনায় ইতোমধ্যে ‘দূর শিক্ষণ’
কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে পরিচালনা শুরু করা হয়েছে। মহেশখালী উপজেলায় বর্তমানে ৭১
টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে।
এরমধ্যে ৬৮টিতে পুরোদমে শ্রেণি
পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম চলছে। আর বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি (০৩টি)সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণাধীন ও এখনো পাঠদান কার্যক্রম চালু হয় নি। বর্তমানে প্রাথমিক
শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে এমন ৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২২টিতে ইতোমধ্যে
লেপটপ, প্রজেক্টর ও স্ক্রীন (মাল্টিমিডিয়া) প্রদান করা হয়েছে। আর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে
প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন, প্রায় ২০০ জন মত শিক্ষক/শিক্ষিকা। মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে
শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বর্তমানে প্রত্যাশা অনুযায়ি পরিচানা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ
বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ইন্টারনেট-এর গতি খুবই দুর্বল।ডিজিটাল আইল্যান্ড প্রকল্পের আওতায়
পুরো মহেশখালীতে উচ্চ গতির ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি শুরু হলে প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ও
মহেশখালী উপজেলার অন্যান্য সেবা খাতগুলোর সেবা জনগনের ঘরে ঘরে পৌঁছানো এখ সময়ের ব্যাপার
মাত্র। এ ক্ষেত্রে মহেশখালী উপজেলার রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, সাংবাদিক, পেশাজীবীসহ
আপামর জনসাধারণের মেধা-মনন ও রুচিবোধকে জাগ্রত করা একান্ত প্রয়োজন। এখানকার অনেকেই
আজও বুঝতে পারছেন না যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ও সরকার মহেশখালবিাসীকে
কত উঁচু জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। ২৭ এপ্রিলের/১৭ পরে হয়ত যারা এখনো এসব বুঝতে পারছেন
না মহেশখালীতে কী ঘটতে যাচ্ছে, তারা স্ব-চক্ষে দেখে উপলব্ধি করতে পারবেন তা, কিছুটা
হলেও। ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যবর্গকে, যাঁরা ডিজিটাল আইল্যান্ড
মহেশখালী প্রকল্পের নেপথ্যে রয়েছেন। কক্সবাজার এলাকার সন্তান হিসেবে আমার একান্ত কামনা,
আমরাই হবো শিক্ষা-দীক্ষা, উন্নত প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন ও ব্যবহারে দেশ সেরা। আল্লাহ্
তায়ালার নিকট অকুন্ঠ চিত্তে দোয়া করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য কক্সবাজারবাসি তথা
বাঙ্গালী জাতির মঙ্গলের জন্য এহেন একটি মহত্তম কাজের সূচনা ঘটনানোর উদ্যোগ গ্রহণ করায়।
পরিশেষে স্মরণ করি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
*মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্; উপজেলা
শিক্ষা অফিসার, মহেশখালী, কক্সবাজার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন