মানসম্মত
প্রাথমিক শিক্ষা:
বৈশ্বিক
প্রেক্ষাপটে (০১)
মোহাম্মদ
শহীদুল্লাহ্*
সারা বিশ্বে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে
মোটামুটি একই রকম শিক্ষাক্রম অনুসৃত হয়ে থাকে। আর এ শিক্ষাক্রম সৃজনশীল বা যোগ্যতা
ভিত্তিক। আর পাঠ্যবিষয়গুলোও অনেকটা একই রকম। ভাষা শিক্ষা, গণিত শিক্ষা, বিজ্ঞান,
সমাজ বিজ্ঞান, ধর্ম ধর্ম বিষয়, শারিরীক শিক্ষা, সংগীত, চারু ও কারো, সহপাঠক্রমিক
বা সাংস্কতিক কার্যক্রমের চর্চা; প্রভৃতি প্রাথমিক স্তরে শেখানো হয়ে থাকে। কোন কোন
দেশে ভাষা ও সাহিত্যের বিষয়গুলো অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া হয়, কোথাও বা গণিত এবং
বিজ্ঞান শিক্ষাকে গুরুত্ব বেশি দেয়া হয়। তবে, তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্রেণি
পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদেরকে তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান অর্জন করানোর উপর বিশ্বব্যপী এখন
অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যাহোক, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্রমকে পরিপার্জন
ও যুগোপযোগি করে সাজানো হয়েছে, ২০১১ সালে। সেই থেকে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ি
সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে শিখন-শেখানো কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০১২
সাল হতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় সৃজনশীল বা যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম
অনুসারে প্রশ্নপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারে ২০১৭ সালে এ পরীক্ষায় ৮০% যোগ্যতা
ভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। এ নিবন্ধে উন্নত-অনুন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রাথমিক
শিক্ষায় অগ্রগতি পর্যালোচনাপূর্বক বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের সাফল্যসমূহ
তলে ধরা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা স্তর এবং পাঠ্য
বিষয়সমূহ:
সাধারণত: প্রায় সকল দেশেই ৬/৭ বছর
বয়সে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে পড়াশোনা শুরু হয়। কোন কোন দেশে প্রাথমিক
শিক্ষা স্তর্ ৫ বছর। আর কোন কোন দেশে তা ৮ বছর বা অষ্টম শ্রেণি শ্রেণি পর্যন্ত।
বিশ্বব্যাপী স্ট্যান্ডার্ড প্রাথমিক শিক্ষা স্তর ধরা হয়, একটি শিশুর ১৮ বছর
পর্যন্ত পড়াশোনার ব্যাপ্তিকালকে। বর্তমান সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি/২০১০-এর আলোকে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ও তা বাস্তবায়ন করছে। আর
বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক স্তরের জন্য পাঠ্য বিষয়গুলো অনেকটা একই রকম। যেমন-ভাষা
শিক্ষা, গণিত শিক্ষা, বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, ধর্ম ধর্ম বিষয়, শারিরীক শিক্ষা,
সংগীত, চারু ও কারো, সহপাঠক্রমিক বা সাংস্কতিক কার্যক্রমের চর্চা; প্রভৃতি।
শিক্ষাক্রম কী?
শিক্ষাক্রম হলো; ‘কোন একটি নির্দিষ্ট
শিক্ষাস্তরের জন্য প্রণীত লিখিত পরিকল্পনা বা দলিল, যাতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
অনুমোদন আছে এবং কর্তৃপক্ষ এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া তদারকি করেন। অর্থাৎ কোন একটি
শিক্ষাস্তরে পাঠ্য বিষয়, পাঠ্য বই, শ্রেণি পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, মূল্যায়ন,
প্রশ্নপত্র তৈরি, সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ, উপকরণ, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার,
সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা; প্রভৃতি যাবতীয় বিষয়ের পরিকল্পনা হলো;
শিক্ষাক্রম।
যোগ্যতা ভিত্তিক বা সৃজনশীল
শিক্ষাক্রম কী?
মার্কিন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী বেঞ্জামিন
ব্লুম পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে, কীভাবে শেখানো হবে এবং শিখে
কী করবে; এ তিনটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে শিক্ষাক্রম বিষয়ক একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন।
পাশাপাশি, তিনি সে দেশের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলোর শিক্ষানীতি ও শিক্ষাক্রম
প্রণয়ণে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি ভারত ও ইসরাইলে সরাসরি শিক্ষা উপদেষ্ঠা
হিসেবে কাজ করেন। তাঁর প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম ও পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি আজ সারা বিশ্বে
অনুসৃত হচ্ছে। বাংলাদেশে পাঠ্যবইগুলো ১৯৯৩ সাল হতে তাঁর প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম
অনুসারে রচনা এবং অনুসরণ করা হয়ে আসছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে বেঞ্জামিন ব্লুমের
পদ্ধতি অনেক আগেই অনুসরণ করা হচ্ছিল। আর এর আগে বাংলাদেশ এতদিন বৃটিশ-পাকিস্তান ও
বালাদেশ শাসনামলে বৃটিশ শিক্ষাক্রম বা শিক্ষানীতি অনুসরণ করা হচ্ছিল। আর তা ছিল
অনেকটা মুখস্থ নির্ভর বা সনাতন পদ্ধতির শিক্ষাক্রম। কিন্তু বেঞ্জামিন ব্লুম
প্রস্তাবিত শিক্ষাদান পদ্ধতি, পরীক্ষা পদ্ধতি এবং শিক্ষার সার্বিক লক্ষ্য, উদ্দেশ্য
ও শিক্ষাক্রম সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং সৃজনশীলতা নির্ভর। আর তা কর্মমুখি এবং জীবনমুখিও।
সংক্ষেপে তাঁর শিক্ষা ভাবনা এখানে উল্লেখ করতে চাই। বেঞ্জামিনের ব্লুমের শিক্ষা
ভানাকে তিনি সাজিয়েছেন নিন্মরূপে। তাঁর শিক্ষা ভাবনাকে টেক্সোনমি বা শিখন ত্ত্ত্ব
হিসেবে অভিহিত করা হয়। তাঁর মতে শিশুর শিখনের স্তর তিনিটি। আর এ তিনটি ডোমেইন বা
স্তর হলো; জ্ঞান, ভাবাবেগ এবং মনোপেশীজ। জ্ঞানমূলক স্তরটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও
বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের সাথে সম্পৃক্ত। ব্লুম আবার জ্ঞানমূলক স্তরকে ৬টি উপক্ষেত্রে
বিভক্ত করেন। সেগুলো হলো; জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, বিশ্লেষণ, সংশ্লেষণ ও মূল্যায়ন।
সাধারণত: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির সময় এ ৬টি স্তরকে অনুসরণ করা হয়। সহজ থেকে
কঠিন ও কঠিন হতে সহজতর; এ পদ্ধতি অনুসরণ করে।তাঁর প্রস্তাবনা অনুযায়ি শিখনের
দ্বিতীয় স্তরটি হলো; এফেক্টিভ ডোমেইন বা ভাবাবেগমূলক স্তর।এ স্তরটি মানব শিশুর
আবেগ প্রকাশের ধরণকে বুঝায়। যেমন-অনুভব, মূল্যবোধ, আবেগ, প্রেরণা ও মনোভঙ্গি। আর
বেন্জামিন ব্লুমের প্রস্তাবিত শিমু শিখন স্তরের সর্বশেষ ও তৃতীয় স্তরটি হলো; স্কোমোটর
বা মনোপেশীজ স্তর। এ স্তরে শিশুদের শারিরীক দক্ষতা অর্জনকে কেন্দ্র করে যা কিছু আবর্তিত
হয়, তাকেই বুঝায়। যেমন-নড়াচড়, সমন্বয় সাধন, প্রাধান্য বিস্তারকরণ, প্রভৃতি।এসব
দক্ষতা অর্জনে অনুশীলণ প্রয়োজন হয় এবং গতি ও সক্ষমতার মাধ্যমে পরিমাপ করা যায়, তা।
শিখনের মাধ্যম হতে পারে; ছবি প্রদর্শন, ভিডিও, অডিও, এনিমেশন ও পাঠ্যবই বা পঠন
সামগ্রী।
প্রাথমিক শিক্ষা সাফল্যচিত্র
দেশ-বিদেশে:
জাতি সংঘ ও এর অঙ্গ সংস্থা; ইউএনডিপি
ও ইউনিসেফ এবং ওইসিডি (ওর্গানাজেশন ফর ইকোনিম কো-অপারেশন এন্ড ডেভেলাপমেন্ট)সহ
আন্তার্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা প্রতি বছর বা কয়েক বছর পর পর বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক
শিক্ষা স্তরের শিক্ষা সাফল্য সূচকগুলো প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করে থাকে। আমরা এ
নিবন্ধে এ ধরণের কয়েকটি সাফল্য সমীক্ষা প্রতিবেন পর্যবেক্ষণ করার প্রয়াস চালাব।
বাংলাদেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দু‘বছর অন্তর অন্তর এনএসএ (ন্যাশনাল
স্টুডেন্টস এসেসমেন্ট)-এর মাধ্যমে তৃতীয় ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র/ছাত্রীদের দিয়ে
দেশব্যাপি বাছাইকৃত কিছু উপজেলার নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মূল্যায়ন করে
থাকে। প্রথমেই আমরা এখানে ওইসিডি কতৃক ২০১৫ সালে পরিচালিত প্রাথমিক শিক্ষাস্তরের
শিক্ষার্থীদের ভাষা শিক্ষা, গণিত শিক্ষা এবং বিজ্ঞান শিক্ষা বিষয়ক দক্ষতা
মূল্যায়নমূলক সমীক্ষা প্রতিবেদনটি পর্যবেক্ষণ করব। ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর তা
প্রকাশ করা হয়। আর সমীক্ষাটি ওিইসিডি পরিচালনা করে প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল
স্টুডেন্ট এসেসমেন্ট (পিআইএসএ) নামক সংস্থার মাধ্যমে। ৭২ টি দেশে সমীক্ষাটি
পরিচালনা করা হয়। ৫৪০০০০ শিক্ষার্থী এত অংশগ্রহণ করে। উল্লেখিত তিনটি বিষয়ে (ভাষা,
গণিত ও বিজ্ঞান)গৃহীত মূল্যায়ন পরীক্ষায় সকল বিবেচনায় সিঙ্গাপুরের প্রাথমিক শিক্ষা
স্তরের শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন করতে পেরেছে বলে প্রমাণিত
হয়েছে। যাহোক, নিন্মে ৭২টি দেশের প্রাথমিক শিক্ষা সাফল্য সরনীর সাহায্যে প্রদর্শন
করা হলো;
গণিত
|
বিজ্ঞান
|
পঠন(ভাষা
শিক্ষা)
|
||||||
ক্রমিক নং
|
দেশের নাম
|
সাফল্য সূচক
|
ক্রমিক নং
|
দেশের নাম
|
সাফল্য সূচক
|
ক্রমিক নং
|
দেশের নাম
|
সাফল্য সূচক
|
১
|
সিঙ্গাপুর
|
৫৬৪
|
১
|
সিঙ্গাপুর
|
৫৫৬
|
১
|
সিঙ্গাপুর
|
৫৩৬
|
২
|
হংকং
|
৫৪৮
|
২
|
জাপান
|
৫৩৮
|
২
|
হংকং
|
৫২৭
|
৩
|
ম্যাকাউ
|
৫৪৪
|
৩
|
এস্তোনিয়া
|
৫৩৪
|
৩
|
কানাডা
|
৫২৭
|
৪
|
তাইওয়ান
|
৫৪২
|
৪
|
তাইওয়ান
|
৫৩২
|
৪
|
ফিনল্যান্ড
|
৫২৬
|
৫
|
জাপান
|
৫৩২
|
৫
|
ফিনল্যান্ড
|
৫৩১
|
৫
|
আয়ারল্যান্ড
|
৫২১
|
৬
|
চীন
|
৫৩১
|
৬
|
ম্যাকাউ
|
৫২৯
|
৬
|
এস্তোনিয়া
|
৫১৯
|
৭
|
দক্ষিন কোরিয়া
|
৫২৪
|
৭
|
কানাডা
|
৫২৮
|
৭
|
দক্ষিন কোরিয়া
|
৫১৭
|
৮
|
সুইজারল্যানড
|
৫২১
|
৮
|
ভিয়েতনাম
|
৫২৫
|
৮
|
জাপান
|
৫১৬
|
৯
|
এস্তোনিয়া
|
৫২০
|
৯
|
হংকং
|
৫২৩
|
৯
|
নরওয়ে
|
৫১৩
|
১০
|
কানাডা
|
৫১৬
|
১০
|
চীন
|
৫১৮
|
১০
|
নিউ চিল্যান্ড
|
৫০৯
|
১১
|
নেদারল্যান্ড
|
৫১২
|
১১
|
দক্ষিণ কোরিয়া
|
৫১৬
|
১১
|
জার্মানী
|
৫০৯
|
১২
|
ডেনমার্ক
|
৫১১
|
১২
|
নিউ জিল্যান্ড
|
৫১৩
|
১২
|
ম্যাকাউ
|
৫০৯
|
১৩
|
ফিনল্যান্ড
|
৫১১
|
১৩
|
স্লোভানিয়া
|
৫১৩
|
১৩
|
পোল্যান্ড
|
৫০৬
|
১৪
|
স্লোভানিয়া
|
৫১০
|
১৪
|
অস্ট্রেলিয়া
|
৫১০
|
১৪
|
স্লোভানিয়া
|
৫০৫
|
১৫
|
বেলজিয়াম
|
৫০৭
|
১৫
|
যুক্তরাজ্য
|
৫০৯
|
১৫
|
নেদারল্যান্ড
|
৫০৩
|
১৬
|
জার্মানী
|
৫০৬
|
১৬
|
জার্মানী
|
৫০৯
|
১৬
|
অস্ট্রেলিয়া
|
৫০৩
|
১৭
|
পোল্যান্ড
|
৫০৪
|
১৭
|
নেদারল্যান্ডস
|
৫০৯
|
১৭
|
সুইডেন
|
৫০০
|
১৮
|
আয়ারল্যান্ড
|
৫০৪
|
১৮
|
সুইজারল্যান্ড
|
৫০৬
|
১৮
|
ডেনমার্ক
|
৫০০
|
১৯
|
নরওয়ে
|
৫০২
|
১৯
|
আইসল্যান্ড
|
৫০৩
|
১৯
|
ফ্রান্স
|
৪৯৯
|
২০
|
অস্ট্রিয়া
|
৪৯৭
|
২০
|
বেলজিয়াম
|
৫০২
|
২০
|
বেলজিয়াম
|
৪৯৯
|
২১
|
নিউজিল্যান্ড
|
৪৯৫
|
২১
|
ডেনমার্ক
|
৫০২
|
২১
|
পর্তুগাল
|
৪৯৮
|
২২
|
ভিয়েতনাস
|
৪৯৫
|
২২
|
পোল্যান্ড
|
৫০১
|
২২
|
যুক্তরাজ্য
|
৪৯৮
|
২৩
|
রাশিয়া
|
৪৯৪
|
২৩
|
পর্তুগাল
|
৫০১
|
২৩
|
তাইওয়ান
|
৪৯৭
|
২৪
|
সুইডেন
|
৪৯৪
|
২৪
|
নরওয়ে
|
৪৯৮
|
২৪
|
যুক্তরাষ্ট্র
|
৪৯৭
|
২৫
|
অস্ট্রেলিয়া
|
৪৯৪
|
২৫
|
যুক্ত রাষ্ট্র
|
৪৯৬
|
২৫
|
স্পেন
|
৪৯৬
|
২৬
|
ফ্রান্স
|
৪৯৩
|
২৬
|
অস্ট্রিয়া
|
৪৯৫
|
২৬
|
রাশিয়া
|
৪৯৫
|
২৭
|
যুক্তরাজ্য
|
৪৯২
|
২৭
|
ফ্রান্স
|
৪৯৫
|
২৭
|
চীন
|
৪৯৪
|
২৮
|
চেক প্রজাতন্ত্র
|
৪৯২
|
২৮
|
সুইডেন
|
৪৯৩
|
২৮
|
সুইজারল্যান্ড
|
৪৯২
|
২৯
|
পর্তুগাল
|
৪৯২
|
২৯
|
চেক প্রজাতন্ত্র
|
৪৯৪
|
২৯
|
লাটভিয়া
|
৪৮৮
|
৩০
|
ইতালী
|
৪৯০
|
৩০
|
স্পেন
|
৪৯৩
|
৩০
|
চেক প্রজাতন্ত্র
|
৪৮৭
|
৩১
|
আইচল্যান্ড
|
৪৮৮
|
৩১
|
লাটভিয়া
|
৪৯০
|
৩১
|
ক্রোয়েশিয়া
|
৪৮৭
|
৩২
|
স্পেন
|
৪৮৬
|
৩২
|
রাশিয়া
|
৪৮৭
|
৩২
|
ভিয়েতনাম
|
৪৮৭
|
৩৩
|
লুক্সেমবার্গ
|
৪৮৬
|
৩৩
|
লুক্সেমবার্গ
|
৪৮৩
|
৩৩
|
অস্ট্রেরিয়া
|
৪৮৫
|
৩৪
|
লাটভিয়া
|
৪৮২
|
৩৪
|
ইতালী
|
৪৮১
|
৩৪
|
ইতালী
|
৪৮৫
|
৩৫
|
মাল্টা
|
৪৭৯
|
৩৫
|
হাঙ্গেরী
|
৪৭৭
|
৩৫
|
আইচল্যান্ড
|
৪৮২
|
৩৬
|
লিথুয়ানিয়া
|
৪৭৮
|
৩৬
|
লিথুয়ানিয়া
|
৪৭৫
|
৩৬
|
লুক্সেমবার্গ
|
৪৮১
|
৩৭
|
হাঙ্গেরী
|
৪৭৭
|
৩৭
|
ক্রোয়েশিয়া
|
৪৭৫
|
৩৭
|
ইস্রাইল
|
৪৭৯
|
৩৮
|
স্লোভাকিয়া
|
৪৭৫
|
৩৮
|
আইচল্যান্ড
|
৪৭৩
|
৩৮
|
লিথুয়ানিয়া
|
৪৭২
|
৩৯
|
ইস্রাইল
|
৪৭০
|
৩৯
|
ইস্রাইল
|
৪৬৭
|
৩৯
|
হাঙ্গেরী
|
৪৭০
|
৪০
|
যুক্তরাষ্ট্র
|
৪৭০
|
৪০
|
মাল্টা
|
৪৬৫
|
৪০
|
গ্রিস
|
৪৬৭
|
৪১
|
ক্রোয়েশিয়া
|
৪৬৪
|
৪১
|
স্লোভাকিয়া
|
৪৬১
|
৪১
|
চিলি
|
৪৫৯
|
৪২
|
কাজাকিস্তান
|
৪৬০
|
৪২
|
কাজাকিস্তান
|
৪৫৬
|
৪২
|
স্লোভাকিয়া
|
৪৫৩
|
৪৩
|
গ্রিস
|
৪৫৪
|
৪৩
|
গ্রিস
|
৪৫৫
|
৪৩
|
মাল্টা
|
৪৪৭
|
৪৪
|
মালয়েশিয়া
|
৪৪৬
|
৪৪
|
চিলি
|
৪৪৭
|
৪৪
|
সাইপ্রাস
|
৪৪৩
|
৪৫
|
রোমানিয়া
|
৪৪৪
|
৪৫
|
বুলগেরিয়া
|
৪৪৬
|
৪৫
|
উরুগুয়ে
|
৪৩৭
|
৪৬
|
বুলগেরিয়া
|
৪৪১
|
৪৬
|
মালয়েশিয়া
|
৪৪৩
|
৪৬
|
রোমানিয়া
|
৪৩৪
|
৪৭
|
সাইপ্রাস
|
৪৩৭
|
৪৭
|
সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
৪৩৭
|
৪৭
|
সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
৪৩৪
|
৪৮
|
সংযুক্ত আরব আমিরাত
|
৪২৭
|
৪৮
|
উরুগুয়ে
|
৪৩৫
|
৪৮
|
বুলগেরিয়া
|
৪৩২
|
৪৯
|
চিলি
|
৪২৩
|
৪৯
|
রোমানিয়া
|
৪৩৫
|
৪৯
|
মালয়েশিয়া
|
৪৩১
|
৫০
|
তুরস্ক
|
৪২০
|
৫০
|
সাইপ্রাস
|
৪৩৩
|
৫০
|
তুরস্ক
|
৪২৮
|
৫১
|
মালডোভা
|
৪২০
|
৫১
|
|
৪২৮
|
৫১
|
কোস্টারিকা
|
৪২৭
|
৫২
|
উরুগুয়ে
|
৪১৮
|
৫২
|
মালডোভা
|
৪২৭
|
৫২
|
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
|
৪২৭
|
৫৩
|
মন্টিনেগ্রো
|
৪১৮
|
৫৩
|
আলবেনিয়া
|
৪২৫
|
৫৩
|
কাজাকিস্তান
|
৪২৭
|
৫৪
|
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
|
৪১৭
|
৫৪
|
তুরস্ত
|
৪২৫
|
৫৪
|
মন্টিনেগ্রো
|
৪২৭
|
৫৫
|
থাইল্যান্ড
|
৪১৫
|
৫৫
|
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
|
৪২১
|
৫৫
|
|
৪২৫
|
৫৬
|
আলবেনিয়া
|
৪১৩
|
৫৬
|
থাইল্যান্ড
|
৪২০
|
৫৬
|
কলাম্বিয়া
|
৪২৩
|
৫৭
|
মেক্সিকো
|
৪০৮
|
৫৭
|
কোস্টারিকা
|
৪১৮
|
৫৭
|
মেক্সিকো
|
৪১৬
|
৫৮
|
জর্জিয়া
|
৪০৪
|
৫৮
|
কাতার
|
৪১৬
|
৫৮
|
মালডোভা
|
৪০৯
|
৫৯
|
কাতার
|
৪০২
|
৫৯
|
কলাম্বিয়া
|
৪০৪
|
৫৯
|
থাইল্যান্ড
|
৪০৮
|
৬০
|
কোস্টারিকা
|
৪০০
|
৬০
|
মেক্সিকো
|
৪১১
|
৬০
|
জর্ডান
|
৪০৭
|
৬১
|
লেবানন
|
৩৯৬
|
৬১
|
মন্টিনেগ্রো
|
৪১১
|
৬১
|
ব্রাজিল
|
৪০৫
|
৬২
|
কলাম্বিয়া
|
৩৯০
|
৬২
|
জর্জিয়া
|
৪০৯
|
৬২
|
আলবেনিয়া
|
৪০৫
|
৬৩
|
পেরু
|
৩৮৭
|
৬৩
|
জর্ডান
|
৪০৩
|
৬৩
|
কাতার
|
৪০২
|
৬৪
|
ইন্দোনেশিয়া
|
৩৮৬
|
৬৪
|
ইন্দোনেশিয়া
|
৪০১
|
৬৪
|
জর্জিয়া
|
৪০১
|
৬৫
|
জর্ডান
|
৩৮০
|
৬৫
|
ব্রাজিল
|
৩৯৭
|
৬৫
|
পেরু
|
৩৯৮
|
৬৬
|
ব্রাজিল
|
৩৭৭
|
৬৬
|
পেরু
|
৩৮৬
|
৬৬
|
ইন্দোনেশিয়া
|
৩৯৭
|
৬৭
|
মেসিডোনিয়া
|
৩৭১
|
৬৭
|
লেবানন
|
৩৮৬
|
৬৭
|
তিউনিশিয়া
|
৩৬১
|
৬৮
|
তিউনিসিয়া
|
৩৬৭
|
৬৮
|
তিউনিসিয়া
|
৩৮৪
|
৬৮
|
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
|
৩৫৮
|
৬৯
|
কসোভো
|
৩৬২
|
৬৯
|
মেসিডোনিয়া
|
৩৭৮
|
৬৯
|
মেসিডোনিয়া
|
৩৫২
|
৭০
|
আলজেরিয়া
|
৩৬০
|
৭০
|
কসোভো
|
৩৭৬
|
৭০
|
আলজেরিয়া
|
৩৫০
|
৭১
|
ডোমিনিকান রিপাবলিক
|
৩২৮
|
৭১
|
আলজেরিয়া
|
৩৩২
|
৭১
|
কসোভো
|
৩৪৭
|
৭২
|
কোস্টারিকা
|
৪২০
|
৭২
|
ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র
|
৩৩৪
|
৭২
|
লেবানন
|
৩৪৭
|
উপরোক্ত সারণী লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে
পাই যে, দারিদ্র্যই শিক্ষায় অগ্রগতি অর্জন করতে না পারার জন্য তেমন কোন বিষয় নয়।
আর শিক্ষায় বেশি বেশি অর্থ ব্যয় করলেই র্কাখিত সাফল্য আসে না। এখানে বাংলাদেশের
চিত্র আসে নি। কারণ তারা দেশটিকে তাদের সমীক্ষার আওতায় আনে নি। যাহোক, শিক্ষায়
সাফল্য পেতে হলে, বিশেষজ্ঞগণ নিন্মোক্ত ৫টি পরামর্শ অনুসরণ করার কথা বলেছেন।
১. শিক্ষায় সাফল্য অর্জনে কোন যাদুর
কাঠি নেই: এখানে অতি দারিদ্র্য বা বিপুল অর্থ বিনিযোগ নয়, প্রয়োজন দীঘৃমেয়াদী
পরিকল্পনা গ্রহণ করে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। পদ্ধতিগতভাবে ও
সামঞ্জস্যপূর্ণ পদক্ষেপই মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সহায়ক হবে।
২. শিক্সকদেরকে প্রাপ্য সম্মান
প্রদর্শণ: উচ্চামানের শিক্ষার জন্য উত্তম শিক্ষক অপরিহার্য। আর উচ্চতর স্কেলে
বেতন-ভাতা প্রদান করলেই ভাল শিক্ষক সৃষ্টি হয় না। আসলে যেটা প্রয়োজন শিক্ষকদেরকে
পেশাজীবী হিসেবে যথাযথ মূল্যায়ন করা। তাঁরা যান্ত্রিক কোন ব্যাপার নয়, তাঁরাও
সম্মানিত ও শ্রদ্ধেয় পেশার মানুষ হিসেবে সমাজে-রাষ্ট্রে মূল্যায়িত হবেন, এটাই
প্রত্যাশিত।
৩. উন্নত সাংস্কৃতিক মান: শিক্ষায়
উন্নতির জন্য উন্নত শিক্ষা সহায়ক সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করা। কোন বিশেষ ব্যবস্থা বা
পদ্ধতি অনুসরণ নয়, সাংস্কৃতিক চর্চাকেই শিক্ষা সাফল্য অর্জনে অধিক গুরুত্ব দিতে
হবে।
৪. অভিবাবকগণ শিক্ষায় প্রতিবন্ধক বা
রক্ষক নন: অভিবাবকদের চাওয়া হলো; তাদের সন্তানরা ভাল ও উন্নত শিক্ষা পাবে। তাদের
পক্ষ থেকে যে কোন ধরণের চাপ প্রয়োগকে নেতিবাচক অর্থে না নিয়ে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ
করা উচিত। আর তাদেরকে সন্তানদের পড়াশোনার অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত রাখা ভাল।
৫. ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিক্ষা দিতে
হবে, বর্তমানের বিচেনায় নয়: বর্তমানের অনেক চাকুরির ধরণ এবং দক্ষতা বিশ বছর পূর্বে
প্রয়োজন ছিল না। আর শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে অতি প্রয়োজনীয় হবে এমন সব
বিষয়গুলোতে দক্ষ করে তোলা।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা চিত্র:
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা এগিয়ে
চলেছে। ক্ষেত্র বিশেষে অনেক ভাল করছে, অন্য অনেক দেশের তুলনায়। সরকারের ডিজিটাল
বাংলাদেশ কর্মূচির আওতায় প্রাথমিক শিক্ষায়ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশীয় বিভিন্ন সংস্থা কতৃক পরিচালিত সমীক্ষা
প্রতিবেদনসমূহে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সাফল্যচিত্র ফুটে ওঠছে। বর্তমান
ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা সম্ভব হলে, আগামী কিছুদিনের মধ্যে আমরাও প্রাথমিক শিক্ষা
স্তরে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো। সরকার সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা
অর্জনে অনেকটা সাফল্য পেয়েছে। এখন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা
(এসজিডি) অর্জন করার জন্য বিশাল কর্মযজ্ঞ। যাহোক, জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (এনএসএ)
প্রতিবেদন/২০১৫ সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে ২ বছর অন্তর
অন্তর এ সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তৃতীয় শ্রেণি এবং পঞ্চম শ্রেণির
ছাত্র/ছাত্রীদের গণিত ও বাংলা বিষয়ে যোগ্যতা ভিত্তিক প্রশ্নপত্র ব্যবহার করে এ
মূল্যায়ন পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ২০০৬ সাল হতে এ মূল্যায়ন কার্যক্রম
পরিচালনা করা হয়ে আসছে। ২০১৫ সালে পরিচালিত পরীক্ষার প্রতিবেদনের আলোকে বাংলাদেশের
শিক্ষার্থীদের গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত মান নিয়ে আমরা এখানে একটি পর্যালোচনা
তুলে ধরার প্রয়াস চালাব।
১. উভয় শ্রেণি এবং বিষয়ে ২০১৩ এর থেকে
২০১৫ সালে গড় নম্বর হ্রাস পেয়েছ।
২. বাংলা এবং গণিত উভয় বিষয়ে ৫ম
শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী অপেক্ষা ভাল করেছে। এতে প্রাথমিক
শিক্ষার পর্যায়ক্রমিক অগ্রগতি হচ্ছে মর্মে প্রতিয়মান হয়।
৩. শিখন অর্জনের ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা
অর্জিত হয়েছে।
৪. শিক্ষার্থীরা প্রয়োগ ও উচ্চতর
দক্ষতার প্রশ্নের তুলনায় জ্ঞান এবং অনুধাবনমূলক প্রশ্নের সঠিক উত্তর বেশি প্রদান
করেছে।
৫. ৩য় শ্রেণির বাংলা বিষয়ে প্রতি ৩জন
শিক।সার্থীর মধ্যে ২ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে এবং ১ জন পারে নি।
৬. ৩য় শ্রেণির গণিত বিষয়ে প্রতি ৫ জন
শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেও ৩জন তা অর্জন করতে
পারে নি।
৭. ৫ম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে প্রতি ৪ জন
শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে। অপর ৩জন তা পারে
নি।
৮. গণিত বিষয়ে ৫ম শ্রেণির ১০ জন
শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেও, ৯জন তা পারে নি।
৯. বড় প্রশ্ন বা কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের
উত্তর কম দিতে পারলেও, শিক্ষার্থীরা বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর ভাল দিতে
পেরেছে।
১০. কেজি স্কুলের শিক্ষার্থীরা সাধারণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের চেয়ে ভাল করেছে। আর মাদ্রাসার
শিক্ষার্থীরা কম ভাল করেছে।
১১. সারাদেশে রাজশাহী বিভাগের
শিক্ষার্থীরা ভাল করলেও, সিলেট অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ভাল করতে পারে নি।
উপসংহার: উপরে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে
আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশের সাফল্যচিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এ স্তরের পাঠ্য বিষয়গুলোর
ভাষা শিক্ষা, গণিত শিক্ষা এবং বিজ্ঞান শিক্ষার মান যাচাইপূর্বক এসব চিত্র পাওয়া
গেছে। বিশ্বব্যাপী মানবজাতি বুঝতে পারছে একমাত্র শিক্ষাই তাদের জীবন যাত্রার মান
উন্নত করতে পারে। হানাহানি, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী পন্থায় কোন জাতি উন্নতি করতে পারে
না। সমর শক্তি, অর্থকড়ি এবং অন্যন্যা শক্তিমত্তা অর্জনের চেয়ে শিক্ষার
আলোয় মানুষকে আলোকিত করতে পারলেই, মানব জাতি সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারে এটা প্রমাণিত
সত্য। বাংলাদেশসহ ৭৩টি দেশের প্রাথমিক শিক্ষা চিত্র এখানে পর্যালোচনা করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে
সকল দেশ সমানভাবে না হলেও, পৃথিবীর সকল অঞ্চলে শিক্ষার প্রতি সরকারগুালো এবং সাধারণ
মানুষ আগ্রহী হচ্ছে এমন চিত্র আমরা উপরের বিশ্লেষণ হতে দেখতে পাই।
*সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার;
মহেশখালী, কক্সবাজার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন