সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটিকে
প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করা কেন প্রয়োজন?
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার
মহেশখালী, কক্সবাজার।
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার (এ.ইউ.ই.ও) পদটিকে কেন প্রথম
শ্রেণিতে উন্নীত করা হচ্ছে না? প্রশ্নটি বিলিয়ন ডলারের।১৯৯৪ সালে এ পদটিকে দ্বিতীয়
শ্রেণির গেজেটেড পদ হিসেবে উন্নীত করা হয়।আর সরকারি কর্ম কমিশনের (পি.এস.সি)-এর
মাধ্যমে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে ১৯৯৬ সাল হতে কর্মকর্তা নিয়োগ প্রদান করা
হয়ে আসছে।একইভাবে একই শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণপূর্বক উপজেলা শিক্ষা অফিসার
পদটিকে ১৯৯৪ সালে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদ ঘোষণা করে অনুরূপ পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া
হয়ে আসছে। ইতোপূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদটি ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির এবং সহকারি
উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদটি ছিল, তৃতীয় শ্রেণির। এ দু‘টি পদে কর্মরত কর্মকর্তাগণ
একে অপরের পরিপূরক স্বরূপ। কিন্তু ১ম শ্রেণি ও ২য় শ্রেণি; এটুকু পার্থক্য বৈ কি! অবশ্য
এটাকে অনেক বড় ফারাক করে দেখেন। অন্যদিকে তাঁরাও (ইউ.ই.ও-গণ) বিভিন্নভাবে পদোন্নতি
ইত্যাদি নিয়ে খুবই হতাশ। আমরাও পদ মর্যাদা এবং মান নিয়ে প্রচন্ডভাবে
হতাশাগ্রস্থ।উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বর্তমানে সারা দেশে অনেক সহকারি উপজেলা
শিক্ষা অফিসার চলতি দায়িত্ব এবং অতিরিক্ত পালন করে যাচ্ছেন।অর্থাৎ উপজেলা শিক্ষা
অফিসারের নেক্সট ম্যান হলেন, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার। অথচ আমরা (এ.ইউ.ই.ও-গণ)
দ্বিতীয় শ্রেণির পদ মর্যাদা ভোগ করছি।যথাসময়ে পদোন্নতিও পাই না, সুযোগ-সুবিধাও পাই
না, যেনতেনভাবে পদায়ন ও বদলী করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে কোন
কমকর্তাকে বিশেস কাজের দায়িত্ব দেয়ার প্রয়োজন হলে, খোঁজা হয় সহকারি উপজেলা শিক্ষা
অফিসারগণকে। কারণ, তাঁরা উচ্চ শিক্ষিত, মার্যিত, গণমুখি, দক্ষ ও কর্মতৎপর। সর্বোপরি,
উপজেলা প্রশাসনে তাঁদের গুরুত্ব মোটেই কম নয়।তাঁদের সকল কাজের পারদর্শিতা বিবেচনা
করে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য মহোদয়, উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয় এবং উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়, ট্যাগ অফিসার পদে, এস.এস.সি-এইচ.এস.সি পরীক্ষার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ডিগ্রী পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পনসহ
বিবিধ জরুরী কাজে এ.ইউ.ই.ও-গণকে বেছে নেন, তাঁরা যথার্থ দক্ষ ও দায়িত্বশীল বলে।আর
প্রত্যেকটি উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমান
সরকার কতৃক গৃহীত সকল শিশুর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চতকরণের লক্ষ্যে বিশাল কর্মযজ্ঞকে
সাফল্যের পানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মূলত: এসব কর্মকর্তা এবং শিক্ষকগণই। উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাগণ শুধু ম্যাসেজগুলো দিচ্ছেন এবং মনিটরিং, তত্ত্বাবধান ও সমন্বয় সাধন করছেন
মাত্র।আবার, প্রাথমিক শিক্ষাস্তর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীসহ অন্যান্যদের
জন্য সরকার এবং দাতাগোষ্ঠী অনেক কিছু করছেন। কিন্তু, সহকারি উপজেলা শিক্ষা
অফিসারগণের দিকে তেমন কারও দরদ দেখা যাচ্ছে না।কেন আমরা অপাংতেয়, অবহেলিত হযে
থাকব? এভাবে বৈষম্য ও অমর্যাদা করা হবে কেন, আমাদেরকে? উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের
কর্মকর্তাগণ; যেনতেনভাবে নিয়োগ পেয়ে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত হয়ে প্রথম শ্রেণির
মর্যাদা পেয়ে যাবেন; আর চেয়ে চেয়ে দেখব, আমরা; এটা হয় না।আবার, প্রধান শিক্ষকগণকে
দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হয়েছে।সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের পদ মর্যাদা
প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত না হওয়া, নিয়মিত পদোন্নতি না পাওয়া এবং অন্যান্য
সুযোগ-সুবিধাদি নিশ্চিত না হওয়ায়, কর্মরত কর্মকর্তাগণের (এ.ইউ.ই.ও) মনে প্রচন্ড
হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।সারাদেশে হতাশাগ্রস্থ দু‘সহস্রাধিক কর্মকর্তাকে কর্মপ্রেরণা
দান, প্রেষণা প্রদান এবং আন্তরিক ও সক্রিয দেখতে চাইলে, তথা সকল শিশুর মানসম্মত
শিক্ষা নিশ্চিতকরণে পুরোপুরি এঁদের সেবা পেতে হলে, এ পদটি প্রথম শ্রেণিতে
উন্নীতকরণ, নিয়মিত পদোন্নতির ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদানের
জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করা
এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত থাকার অভিজ্ঞতার আলোকে
নিন্মে আমার কিছু প্রস্তাবনা এবং অনুভূতি তুলে ধরছি।
১.প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের
অধীনে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণের জন্য নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন,
সুযোগ-সুবিধাদি নিশ্চিতকরণসহ যাবতীয় বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিজস্ব
বিধিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে, শীঘ্রই। প্রস্তাবিত খসড়া নিয়োগ বিধিমালা
দেখতে পাই এবং এ বিষয়ে শুনছি, অনেক দিন ধরে।কিন্তু তা আলোর মুখ দেখতে পাচ্ছে না।
আমাদেরকে গাধার মত খাটানো হবে, আর আমাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো বিবেচনা করা হবে না,
এটি কেমন কথা?
২.সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত কর্মকর্তাগণসহ
সমপর্যায়ে বা নীচের স্তরের পদগুলোতে যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষার জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে
কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের মর্যাদা বাড়াতেই হবে, নিয়মিত পদোন্নতি দিতে হবে এবং নীতিমালা
অনুযায়ি পদায়ন করতে হবে। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণরে সাথে শুধু দুর্ব্যবহার
করলে এবং তাঁদেরকে গালাগালি করে গেলে, কোন কাজ হবে না। তাঁরাও ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য
হবে।একই পদে এতগুলো সম্ভাবনাময় অফিসার তিলে তিলে কষ্ট পাবে এবং একই পদে চাকুরী
শুরু ও একই পদে শেষ করবে, এটা হতে পারে না। সমগ্র পৃথিবীর কোথাও নেই, এমন
ব্যাবস্থা। আমলাতন্ত্র বা কোন সংগঠনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা পুরো চাকুরিকাল একই
পদে থাকবে, এমন ভাবাও যায় না।বৃটিশ শাসনামল হতে ভারত উপমাহাদেশ এবং
পাকিস্তান-বাংলাদেশ শাসনামলে কোন দেশে এমন ব্যবস্থা নেই, যতদূর জানি।বাংলাদেশের
প্রশাসনে বা সরকারি বিভাগ/অফিসগুলোতে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের মত এত হতাশা,
আর কোন বিভাগে আছে কিনা, সন্দেহ হয়।
৩.উপজেলা পর্যায়ে অন্যান্য অফিসগুলো; যেমন কৃষি অফিস,
প্রেকৌশল অফিস, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিস, প্রাণি সম্পদ অফিসগুলোতে
কর্মরত কর্মকর্তাগণের মাঝে পদ মর্যাদা বৃদ্ধি, পদোন্নতি এবং পদায়ন নিয়ে এত হতাশা
নেই। তাঁরা বরং অনেক আগেই পদ মর্যাদাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাদি পেয়ে গেছে।
৪. জাতীয় শোক দিবসের এই শোকাবহ আগস্ট মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা;
রেজিস্টার্ড-আনরেজিস্টার্ড সব ধরণের প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীকে
সরকারিকরণ করে বিশাল উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুচজবুর রহমান, ০১/০৭/৭৩ তারিখে প্রায় ৩৮ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক ঘোষনায়
জাতীয়করণ করে একটি স্বাধীন, শিক্ষিত ও মর্যাদা বোধসম্পন্ন জাতি গঠনের কাজ সূচনা
করেছিলেন।আর, তাঁর সুযোগ্য কন্যা, ২০১৩ সালের ৯ই জানুযারি সকল বেসরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়কে জাতীযকরণের ঘোষণা প্রদান এবং এপর্যায়ে এসে বাস্তবায়ন করে দেখিয়ে দিয়েছেন,
তিনিই পারেন, এ জাতিকে উন্নয়নের সোপানে উঠিয়ে দিতে। তিনি প্রধান শিক্ষকদেরকে
দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিয়ে সকল শিক্ষকের জন্য উন্নীত বেতন-স্কেল ঘোষণা দিয়েছেন,
যা বর্তমানে সারা দেশে বাস্তবায়িত হচ্ছে।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবই করছেন, বাংলাদেশ
ও বাঙ্গালী জাতিকে অকুন্ঠ চিত্তে ভালবাসেন বলে এবং জাতিকে বিশ্ব দরবারে উচু মর্যাদায়
সমাসীন করতে চান বলে। সীমিত সম্পদের এ দেশকে তিনি, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নত করে মধ্যম
আয়ের দেশে পরিণত করতে বদ্ধপরিকর। সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের প্রতি বিরূপ
মনোভাবাপন্ন কতিপয় মানুষের কথা মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শুনবেন কেন? তিনি সহকারি উপজেলা শিক্ষা অপিসারদের পদটিকে প্রথম
শ্রেণি করার ঘোষনা দিন, এ শোকের মাসেই। কার্যকর হয়ে যাবে, শীঘ্্রই। সব বাধা দূর
করে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা দিয়ে দিন, মহামান্য
প্রধানমন্ত্রী। আমরা আপনার জন্য যা করার সবই করব।
৫.বিশ্ববিদ্যালয় হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নেওয়া একদল শিক্ষিত,
তরুণ ও কর্মতৎপর কর্মকর্তাকে (এ.ইউ.ইও) হতাশায় ডুবিয়ে রাখা কারও জন্যই মঙ্গলজনক
হবে না।জাতির জন্য তো নয়ই, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য তো মোটেই
নয়।সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ, কাজ করেন দেশের প্রাথমিক শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত উচ্চ শিক্ষিত, ভদ্র, জাতি গঠনের কারিগর, পবিত্র
মন-মেজাজের অধিকারী একদল শিক্ষকদের নিয়ে। তাঁরা, তাঁদেরকে (শিক্ষকদেরকে) প্রশিক্ষণ
দেন, শেখান, পড়ান, সহায়তা দেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কাজে সাহায্য-সহায়তা দেন।
সর্বোপরি, প্রাথমিক শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজ শিক্ষকদের সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করান,
সরকারের পক্ষে। আর এ স্তরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে শিক্ষার্থীরা বা মানুষেরা
সাধারণত; পড়াশোনা করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ
শিক্ষকদের শিক্ষক ও প্রশিক্ষক। সে অর্থে সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় শিক্ষকদের মত ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের
অধ্যাপকমন্ডলী বিবিধ অনুষদ বা ফ্যাকাল্টিভুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে
মৌলিক-তাত্ত্বিক ও বিশ্বমাপের জ্ঞান বিতরণ করে থাকেন। শিক্ষার্থীরা তা অর্জন করে
দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পেশার কর্ম জীবনে ছড়িয়ে পড়ে।আর সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত উচ্চ শিক্ষিত শত শত শিক্ষকমন্ডলীকে পেশাগত
মানোন্নয়ন এবং বিষয় জ্ঞান এবং পাঠদান সম্পর্কিত জ্ঞান বিতরণ ও হাতে কলমে এসব কাজ
শেখান ও নির্দেশনা-পরামর্শ দেন। বিষয়টি হয়ত, কেহ এভাবে ভেবে দেখার অবকাশ পান না।
কিন্তু বাস্তবতা, তাই।সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণের মাঝে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা
ক্যাডার সাভিস-এর প্রশান বিভাগ, পররাষ্ট্র দপ্তর, পুলিশ বিভাগ, ইকোনেমিক ক্যাডারসহ
বিভিন্ন বিভাগের প্রথম শ্রেণির ক্যাডার পদে চাকুরি করার যোগ্যতা রাখেন। যোগ্যতা রাখেন,
বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজগুলোতে অধ্যাপনা করার বা ব্যাংকের উচ্চ পদে চাকুরি
করার। কিন্তু দেশে এধরণের পদগুলো খুবই সীমিত বলে তাঁরা তা পারেন নি, হয়ত। তাই বলে,
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে খাটো করে দেখার অবকাশ মোটেই নেই।জাতীয় পর্যায়ে লোকপ্রশাসন
সংস্কার কমিটি(নিকার), চাকুরি ও নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়ন বিষয়ক কিমিটি, চাকুরি
বিধি-বিধান প্রণযন এবং আইন-কানুন তৈরি করেন, এমন উচ্চ পর্যায়ের কমিটিগুলোতে যাঁরা
আছেন এবং অন্য সকল সংশ্লিষ্ট সর্বোচ্চ পর্যায়ের অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষের নিকট
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণের আকুল আবেদন, আপানারা আমাদের প্রথম শ্রেণি করার
বিষয়টি দরদ ভাবুন এবং অচিরেই তা বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন।আমাদের
এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকায়, আমরা সর্বাত্নক আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করার উৎসাহ
হারিয়ে ফেলছি।প্লিজ, আমাদের ব্যাপারটা আবার ভাবুন এবং তা কার্যকর করে দিন।
৬. সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে উপজেলা পর্যায়ে এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ অন্যান্য অফিসে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁদের ধৈর্য্য
হারালে চলবে না। অনিয়মতান্ত্রিক পথে বা শ্রমিক আন্দেলনের মত আন্দেলন করার কথা ভাবা
যাবে না, আমাদেরকে। নিয়মতান্ত্রিক পথে ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগুতে হবে, সবাইকে। আমাদের
দাবিগুলো সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে আমাদেরকে এবং এগুলো কার্যকর করার পদ্ধতি সম্পর্কে
সুস্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। জানতে হবে, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহন এবং বাস্তবায়ন
প্রক্রিয়া সম্পর্কে। শুধু কাদা ছুড়াছুড়ি করে ও আজেবাজে মন্তব্য করে পরস্পরকে নিয়ে
মন্তব্য করলে, আমাদের দাবি ভেস্তে যাবে। আমার অনুরোধ আমরা সবাই তৎপর হই এবং যে
যেখানে আছি, সাংগঠনিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা এবং সংগঠিত হয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে
আমাদের কথাগুলো পৌঁছানোর চেষ্টা করি। হতাশ না হয়ে, অব্যাহত প্রচেষ্টা চালালে, আমরা
অবশ্যই সফল হব।
পরিশেষে বলতে হয়, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে কারও
অবহেলার চোখে উচিত হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব; আমাদের প্রথম
শ্রেণিতে উন্নীতকরণের বিষয়টি আন্তরিকতা দিয়ে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে দ্রুত
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করুন। অন্যথায়, পুরো প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন কার্যক্রমে
স্থবিরতা নেমে আসতে পারে।আমার সহকর্মী, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণকে আপনারা
অস্থির হবেন না। নিয়মতান্ত্রিক পথে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাবি-দাওয়া আদায়ের কথা ভাবুন। সহকারি
উপজেলা শিক্ষা অফিসার সমিতি দ্রুত পূণর্গঠন করে সবাইকে পূর্ণাঙ্গ সক্রিয় কতে হবে।
সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে।অন্যপথে নয়। সবাই ভাল থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন