চকরিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা: একটি পর্যবেক্ষণ
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার
মহেশখালী, কক্সবাজার।
চকরিয়া উপজেলা, প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অগ্রগতি বিবেচনায়,
কক্সবাজার জেলার মধ্যে অন্যতম অবস্থান দখল করে আছে।এখানকার কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর সামগ্রিক
মানও অন্য ৭টি উপজেলার তুলনায় ভাল।অত্র উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর
অধিকাংশেরই পর্যাপ্ত শিক্ষক, অবকাঠামো এবং আসবাবপত্র রয়েছে।আবার, কোনাখালী ও
বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নে শিক্ষক স্বল্পতার সমস্যাটি খুব প্রকট। এ উপজেলায় প্রায় দুই
তৃতীয়াংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে দপ্তরী-কাম প্রহরী পদে জনবল নিয়োগও সম্পন্ন
প্রায়। সব মিলে বলা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামো ও শিক্ষক স্বল্পতার
সমস্যা তেমন নেই। এ উপজেলায় কর্মরত বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার, একজন
অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং ভাল মানুষ ও কর্মকর্তা।তাঁর স্বচ্ছতা এবং ন্যায়-নিষ্ঠা নিয়ে
কোন প্রশ্ন নেই।আর কর্মরত ০৪ জন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারও যোগ্য, সুদক্ষ এবং
কর্মতৎপর। কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত, মার্যিত রুচিবোধসম্পন্ন,
যোগ্য এবং সুদক্ষ।এ ছাড়া, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরে
শিক্ষা প্রদানের জন্য চকরিয়া উপজেলায় বেশ কিছু কিন্ডারগার্টেন এবং এবতেদায়ী
মাদ্রাসাও পরিচালনা করা হচ্ছে। সব মিলে প্রায় ৩০০ টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর সংখ্যা প্রায় ৩,০০০ জন।
অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,০০০০০(এক লক্ষ) জন।কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় এ
উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান এখনও কাংখিত পর্যায়ের নয়। এ উপজেলায় গাইবান্দার
শিবরাম, বগুড়ার মোকামতলা বা চাঁদপুরের হাসান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মত নামকরা
কোন বিদ্যালয় এখনও গড়ে ওঠেনি। অবশ্য, এমন কোন বিদ্যালয় সমগ্র কক্সবাজার জেলায়ই
পাওয়া দুস্কর। পেকুয়া উপজেলার ফয়জুন্নেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কিছুটা এগিয়ে
যাচ্ছে বলে জানা যায়। আর কোন উল্লেখযোগ্য
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্সবাজারে নেই। বিগত ২০১৪ সালের প্রাথমিক সমাপনী
পরক্ষায় এ জেলায় সবচেয়ে ভাল ফলাফল করেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা। আগের বছর ২০১৩ সালে
চকরিয়া উপজেলা দ্বিতীয় অবস্থানে অর্জন করেছিল।আর ২০১৪ সালে, সারা দেশে প্রাথমিক
শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের দিক দিয়ে কক্সবাজার জেলার অবস্থান ছিল ৪৩তম,
৬৪ জেলার মধ্যে।যাহোক, বর্তমানে চকরিয়া উপজেলায় কর্মরত শিক্ষকদের পেশাগত মান, উৎকর্ষতা
অর্জন ও আন্তরিকতার অভাব নিয়ে অভিভাবক-জনগোষ্ঠীর মাঝে কিছুটা বিরূপ সমালোচনা শোনা
যায়। এমন হওয়াটা দু:খজনক, বৈ কি! চকরিয়াবাসী প্রাথমিক শিক্ষার মান ও অবস্থানের আরও
বৃদ্ধি এবং উন্নতি প্রত্যাশা করে। অতি সম্প্রতি বন্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ
চকরিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমকে মারাত্নকভাবে
ব্যাহত করেছে। এ ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে ওঠতে বেশ বেগ পেতে হবে, সবাইকে। চকরিয়া উপজেলায়
এক বছর মত সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা এবং অত্র
এলাকার সন্তান হিসেবে চকরিয়ার প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আমার কিছু পরামর্শ
এখানে তুলে ধরা হলো।
চকরিয়ার প্রাথমিক
শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়সমূহ:
.
উপজেলার
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নিয়মিতভাবে মনিটরিং, তত্ত্বাবধান এবং পরিদর্শন করা
অপরিহার্য।কারণ মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এসব কার্যক্রম জোরদার করার বিকল্প
নেই।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং কর্মকর্তাগণ বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।
.
উপজেলা
প্রশাসন এবং জন প্রতিনিধিগণকে অন্যান্য ক্ষেত্রের ন্যায় প্রাথমিক শিক্ষা
ব্যবস্থাকে যথার্থ গুরত্ব দিতে হবে, নিয়মিত খোঁজ-খবর নিতে হবে। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক
শিক্ষাকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিভাগ হিসেবে নিয়ে হাজার হাজার কেটি টাকার কর্মসূচি
গ্রহন ও বাস্তবায়ন করছেন। শিক্ষকদের জন্য দেশ-বিদেশে বিবিধ পেশাগত উন্নয়নমূলক
প্রশিক্ষণের আয়োজনসহ শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণ এবং বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত সমস্যা
ও আসবাবপত্রের সমস্যা নিরসনে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রী মহোদয় ও শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীগণগণ।আর ২৬,০০০ বেসরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১ লক্ষ ৪/৫ হাজার শিক্ষককে সরকারিকরণ করা হয়েছে। এটা করে
প্রধানমন্ত্রী জাতির জন্য এক বিশাল কাজ করেছেন এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এ
বিষয়টি তাঁর পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। অন্য কেহ এত বড় কাজ করতে সক্ষম হতেন কিনা যথেষ্ট
সন্দেহ রয়েছে। প্রিত্যক বছরের প্রথম দিনেই কোটি কোটি শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্য বই
পৌঁছে দেয়ার মত যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।এসব বিষয় আপনাদের জানা আছে।
আপনারা একটু ভূমিকা নিলে, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়ন করা যাবে,
সন্দেহ নেই।
. উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত
শিক্ষকমন্ডলী তাঁদের বেতন-ভাতাসহ পাওনাদি যাতে স্বাভাবিকভাবে ও সময়মত পান, উপজেলা শিক্ষা
অফিসের উচিত এ দিকটি যত্ন সহকারে ও গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদন করা ও নিশ্চিত করা।
.
চকরিয়া
উপজেলার বর্তমান উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহোদয় একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন, স্বচ্ছ, দক্ষ ও
ভাল মানুষ, এ কথা ভূমিকাতেই লিখেছি। তিনি একটু কষ্ট করলে, এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা
ক্ষেত্রে সার্বিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।আমি যতটা জানি, তাঁর অফিসে জনবল সংকট
থাকায়, সার্বিক কার্যক্রম পরিচালানা করতে গিয়ে তাঁকে কিছুটা হিমসিম খেতে হচ্ছে।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চকরিয়ার মত একটি বড় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম
পরিচালনায় জনবল শূন্যতা পূরণের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।আর উপজেলা শিক্ষা অফিসার,
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসারবৃন্দ এবং কর্মরত শিক্ষকদের মাঝে সুসমন্বয় ও
শ্রদ্ধা-স্নেহের সম্পর্ক বজায় রেখে যাঁর যাঁর দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পাদন করে যাওয়াই
উত্তম।
.
উপজেলা
প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি এবং বিদ্যলয়ের ম্যানেজিং কমিটিগুলোকে (এস.এম.সি) সক্রিয়
রাখা প্রয়োজন ও নিয়মিত সভাগুলো আহবান করা, আয়োজন করা এবং সভার সিদ্ধান্তসমূহ
বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
.
অন্তত:
তিন মাস অন্তর অন্তর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অভিভাবক সমাবেশ বা মা-সমাবেশ এবং
বিদ্যালয় এলাকার জনগোষ্ঠীকে নিয়ে মাঝে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা প্রয়োজন।
.
প্রত্যেক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহ-পাঠক্রমিক কার্যক্রম, কাব-স্কাউটিং, জাতীয় দিবস উদযাপন এবং
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং এসব কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।
.
যে
সব বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা আছে এবং অবকাঠামোগত ও আসবাবপত্রের স্বল্পতার সমস্যা
প্রকট সেখানকার সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
.
সাম্প্রতিক
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়গুলো দ্রুত মেরামত-সংস্কারের ব্যবস্থা ও স্বাভাবিক
পড়াশোনর পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলকে সহায়তা করতে হবে।
.
বছরের
শুরুতে প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকার বিদ্যালয় গমনোপযোগি সকল
শিশুর(৫+----১০+ বছর) বিদ্যালয়ে ভর্তি, নিয়মিত বিদ্যালয় গমনাগমন এবং প্রত্যেক শিশুর
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিস্ট সকলকে সর্বাত্বক আন্তরিক প্রচেষ্টা
চালাতে হবে।
.
কর্মরত
শিক্ষক/শিক্ষিকমন্ডলীর মাঝে পেশাজীবীসুলভ এবং প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তুলতে
হবে। সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের উত্তম ও দক্ষ শিকক্ষকদের পদাংক অনুসরণ এবং
পেশাগত মান বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।
.
কর্মরত
শিক্ষকমন্ডলীর বিষয় জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করার জন্য তাঁদেরকে নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে।
আর, শ্রেণিকক্ষে উত্তম পাঠদানের জন্য পাঠদানের নতুন নতুন পদ্ধতি জানা, উপকরণ
ব্যবহার, প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কিত নিত্য-নতুন ধ্যান-ধারণা অর্জন, পাঠপরিকল্পনা
তৈরি ও তা অনুসরণ করে পাঠদান করার কলাকৌশলসমূহ ভালভাবে আয়ত্ত্ব করে নিতে নিয়মিত অধ্যয়ন
ও সেগুলো চর্চা করার বিকল্প নেই।
.
শিক্ষকগণকে
প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান-দক্ষতার আলোকে এবং পদ্ধতিগতভাবে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম
পরিচালনা করতে হবে।
.
কর্মরত
শিক্ষকগণকে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং তার প্রায়োগিক দক্ষতা ও মাল্টি-মিডিয়া
ব্যবহার করে শ্রেণি পাঠদান করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সকল বিষয় জানতে ও ব্যবাহার
করতে শিখতে হবে।
.
প্রধান
শিক্ষকগণের উচিত হবে, বিদ্যালয়ের নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনাগত জ্ঞান ও প্রায়োগিক
দিকগুলো ভালভাবে জেনে নেয়া এবং সেসব বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সুদক্ষ হয়ে ওঠার জন্য
সর্বাত্ত্বক প্রচেষ্টা চালানো।
.
সরকারি
চাকুরীজীবী হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকমন্ডলীর উচিত, সরকারি চাকুরির
বিধি-বিধান এবং বিভাগীয় আইন-কানুন ভালভাবে জানা ও সেসব মেনে চলা।বিদ্যালয় গমনাগমন,
ছুটি ভোগ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলো বিভাগীয় বিধি-বিধান মেনে ভোগ করতে হবে।
যেন-তেনভাবে এসব করা উচিত নয়।
.
শিক্ষকদের
মাঝে বিবিধ বিষয়ে মতভেদ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক বিভিন্ন ব্যাপারে ভিন্ন মত থাকা
স্বাভাবিক। কিন্তু, পেশাগতভাবে সবার উচিত একটা প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
.
প্রত্যেক
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে বিদ্যালয় উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) গ্রহন ও বাস্তবায়ন
করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার কিছু অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থের সদ্ব্যবহার ও
গৃহীত এবং অনুমোদিত উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা
প্রয়োজন।
.
প্রতিটি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সফল করে তোলার জন্য প্রধান শিক্ষক, সহকারি শিক্ষকমন্ডলী
এবং জনগোষ্ঠীরে অংশগ্রহণে একটি সুদূন প্রসারী কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা ধাপে
ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে।
.
বিদ্যালয়
মেরামত ও সংস্কার এবং টয়লেট নির্মাণ ও মেরামতসহ বিবিধ উন্নয়নমূলক হাজগুলো মানসম্মত
হতে হবে এবং বরাদ্দকৃত অর্থ স্বচ্ছাভাবে ও নীতিমালা অনুযায়ি সম্পাদন করা উচিত।
.
প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিটি শিক্ষার্থী, যথা- সবল, দুর্বল, প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক,
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ধনী-গরীব, পারগ-অপারগ; সবার জন্য মানসম্মত ও সমান শিক্ষা
নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের যা যা করনীয় তা তা করতে সর্বোচ্চ আন্তরিক হতে হবে এবং সক্রিয়
প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
.
শিক্ষকগণ
বর্তমানে যে যে বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, তাঁদের উচিত সে সব বিদ্যালয় এবং
শিক্ষার্থীদের দরদ দিয়ে ভালবাসা এবং সর্বাত্নক আন্তরিকতা নিয়ে নিজেকে উজাড় করে
দিয়ে শিশুদের শিক্ষা দেয়া। মনে রাখতে হবে যে, তাঁরা কোমলমতি-নির্দোষ-নিস্পাপ মানব
শিশুদের পড়াশোনা করানোর চাকুরি বা দায়িত্ব নিয়েছেন। এ সব শিশুদের পড়াশোনা করানোতে
অবহেলা প্রদর্শন করলে বা আন্তরিক না হলে, দুনিয়া-আখেরাত কোথাও রেহাই পাওয়া যাবে
না।
চকরিয়া তথা সমগ্র দেশের প্রাথমিক
বিদ্যালয়গুলোকে মানসম্মত ও সফল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপদান এবং সকল শিশুর
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এভাবে আরও কিছু দিক উল্লেখ করা যেতে পারে।তবে,
উপরে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে বাসবাস্তবায়ন সম্ভব হলে, যে কোন উপজেলার
প্রাথমিক শিক্ষা উপকৃত হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।এ নিবন্ধে চকরিয়া উপজেলার প্রাথমিক
শিক্ষা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে করণীয়সমূহ আলোচনা করা হলো।এটা পড়ে কিছুটা হলেও এ
উপজেলার লাভবান হলে নিজেকে ধন্য মনে করব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন