রবিবার, ২৫ জুন, ২০১৭

Dream of a good School

সফল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বপ্ন
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার
 মহেশখালী, ককসবাজার।
কক্সবাজারে একটি সফল প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজছি, আমি।আমি খুঁজছি, গাইবান্দার শিবরাম বা বগুড়া জেলার মোকামতলার মত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।সুনামগঞ্জের দিরাই, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া, রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, কক্সবাজারের চকোরিয়া এবং মহেশখালীতে ১৫ বছর কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু একটি সফল বিদ্যোলয়ের দেখা পাইনি, আমি এখনও। রাঙ্গুনিয়া ও চকোরিয়া উপজেলার বিদ্যালয়গুলো অপেক্ষাকৃত ভাল, তবে শিবরাম,মোকাতলা বা চাঁদপুরের হাসান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ধারে-কাছেও নয়।আমি শিক্ষকদেরকে প্রায়ই সারাদেশের ভাল ভাল বিদ্রালয়গুলোর গল্প করি ও অনুসরণ করতে বলি। পরামর্শ দেই, নিজ নিজ বিদ্যালয়কে সফল বিদ্যালয়ে রূপ দেয়ার চেষ্টা করুণ। কিন্তু, কার কথা কে শুনে। অনেক শিক্ষকের ভাব খানা এমন যে, শিক্ষা অফিসে যাঁরা কাজ করেন, সব খারাপ; আগে তাদেরকে ঠিক করতে হবে। বলেন,‘আমরা যা করছি, যথেস্ট করছি, আর সশ্ভব নয়।’ কিন্তু একজন শিক্ষকও পাচ্ছি না, যিনি গাইবান্দ্যার নুরুল আলমের মত হতে চান। গাইবান্দার নুরুল পারলে, কক্সবাজারের রহিম চৗধুরী, জসিম উদ্দিন, কলিমুল্লাহ কেন পারবেন না। কেন পারবেন না এলাকাবাসীকে সাথে আয় বর্ধক কাজ হাতে নিয়ে  এবং উদ্বুদ্ধ করে বিদ্যালয়কে সবদিক দিয়ে বিখ্যাত করে তুলতে? কেন চকোরিয়ার কোরক বিদ্যাপীঠ এত এ+ পেলে, আপনারা পাবেন না? ওখানকার শিক্ষকগন কী আপনাদের চেয়ে অধিক যোগ্য না বেতন-ভাতা বেশি পান? না, তাঁদের প্রশিক্ষণ বেশি উন্তত; আপনাদের চেয়ে? আসলে তাঁদের তো আনুষ্ঠানিক কোন প্রশিক্ষণই নেই। একটা বিষয়, হয়তো মেনে নেয়া যায় যে, তাঁদের ছাত্র/ছাত্রীর পরিবার অধিকতর স্বচ্ছল বা বেশি সচেতন।কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যারা পড়ছে, তারা সবাই কী এতই দুর্বল মেধার বা গরীব মা-বাবার সন্তান? না বিশ্বাস হয়না। চলুন না, আমরা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সবাই একেটা চ্যালেঞ্জ গ্রহন করি এবং প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক একটি শিবরাম বা মোকামতলায় পরিণত করে তুলি। সব বিদ্যালয়কে একসাথে না পারলেও, প্রতিটি উপজেলায় অন্তত বছরে দু‘টা/তিনটা করে বিদ্যালযকে দেশ সেরার তালিকায় স্থান করে দিই। যাহোক, এ নিবন্ধে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সফল করে তুলতে কী কী থাকতে হয়, সেসব নিয়ে আলোকপাত করব। আর আমরা কক্সবাজারের ৮ টি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে এক একটি সফল বিদ্যালয়ে পরিণত করতে ২০১৫ সালের প্রথম দিন হতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে কাজ শুরু করি।
সফল বিদ্যালয়ের কার্যকর উপাদানসমূহ:
একটি সফল প্রাথমিক বিদ্যালরে সাধারণত নিন্মোক্ত উপাদানসমূহ থাকতে হয়। এর কোনটার ঘাটতি থাকলে সে বিদ্যালয়ে সাফল্য বয়ে আনা কঠিন। যাহোক, এখানে প্রথমে মূল উপাদানসমূহ উল্লেখপূর্বক সহায়ক উপাদাগুলো উল্লেখ করা হবে।
.          কাযর্কর জন অংশগ্রহণ: এলাকাবাসীর সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করা একটি প্রধানতম উপাদান, বিদ্যালয়ের। এলাকাবাসী তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে না পাঠালে, বিদ্যালয়ে কিছুই থাকে না। এলকাবাসীর সাথে মত বিনিময়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন, বিদ্যালয়ের সমস্যা সম্পর্ক অবহিত থাকা শিশুদের অগ্রগতি নিয়ে অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করা।
২. নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনা: শিক্ষক ব্যবস্থাপনা, সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, স্কুলের উদ্দেশ্য সম্পর্ক স্বচ্ছ ধারণা থাকা ‍ও যাবতীয় কাগজপত্র সংরক্ষণ করা।
৩. কার্যকর সম্পদ: বিদ্যালয়ের ভবন, জমি, আসবাবপত্র, পর্যাপ্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা, উপকরণ ইত্যাদি বিদ্যালয়ে অবশ্যই থাকতে হবে।
৪. কার্যকর বা উপযোগি পরিবেশ: একটি বিদ্যালযের পরিবেশ শিশু বান্ধব এবং শিখন-সহায়ক হওয়া বাঞ্চণীয়।
৫. কাযর্কর শিখন-শেখানো: একটি বিদ্যালয়ের প্রাণ হলো শিশু-শিক্ষকদের মধ্যকার শিখন-শেখানো কাযর্ক্রম। দক্ষ শিক্ষক, উপকরণ ব্যবহার, সকল শিশুর প্রতি সমান আচরণ ও বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহার বিদ্যালয়কে করে তোলে সফল।
৬. কার্যকর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন: বিদ্যালয়ের সাবির্ক সাফল্য বয়ে আনতে হলে এর কার্যকর পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকতে হবে।
এবার াামরা একটি সফল বিদ্যালয়ের সহায়ক উপাদানসশূহের দিকে দৃষ্টিপাত করব;
জন অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে সহায়ক উপাদানসমূহ:
.  বিদ্যালয়ে একটি সক্রিয় এসএমসি থাকবে।
.           এসএমসি-এর নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
.  এসএমসি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে ভূমিকা পালন করে।
.           শিশু জরিপ নির্ভুলভাবে ও সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়।
.           বিদ্যালয় উনন্নয়ন পরিকল্পনায় এলাকাবাসীর সম্পৃক্ততা থাকে।
.           বিভিন্ন স্তরের বা পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকে।
.           এসএমসি সরকারি নীতিমালা বা নিদের্শনাসমূহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে থাকে।
.           এসএমসি বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কার্যাবলির সাথে নিবীডভাবে সংশ্লিষ্ট থাকে।
.           শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি এসএমসি অবহিত থাকে।
.           স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিধি, এসএমসি এবং অভিভাবকগণ বিদ্্যালয়ে সকল কার্যক্রম সম্পর্ক খোঁজ-খবর রাখেন।
.           অভিভাবক সমাবেশ,মা-সমাবেশ, উঠান বৈঠক ইত্যাদি নিয়মিত হয়ে থাকে।
.           ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনূষ্ঠানাদিতে স্থানীয় জনগণ আন্তরিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন।
.           এসএমসি ও প্রধান শিক্ষক ধনী-দরিদ্র, সুস্থ-অসুস্থ সকল শিশুর প্রতি সমান আচণের বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।
.           এসএমসি-এর মহিলা সদস্যগণ সভায় নিয়মিত উপস্থিত ও সক্রিয়   থাকেন।
.           মেয়ে শিশুদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

নেতৃত্ব ও ব্যবস্থাপনার সহায়ক উপদানসমূহ:
১.প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের প্রত্যাশা ও মানব সম্পদ ব্ব্যবস্থাপনা ব্যাখ্যা করতে পারবেন্।
২.প্রধান শিক্ষক সহকারি শিক্ষকদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করবেন।
৩.কর্মরত শিক্ষকদের সংখ্যানুপাতে প্রতি শ্রেণির শিশুদের বিভিন্ন শাখায় ভাগ করে দিবেন।
৪. সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগনের সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের চাহিদা নিরূপন করবেন।
৫. বিদ্যালয় উন্নয়নের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবেন।
৬. বিদ্যালযের একটি কর্মপরিকল্পনা থাকবে।
৭. পরিকল্পনায় বিদ্যালয়ের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠবে।
৮. শিখন-শেখানোর বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
৯. প্রধান শিক্ষক হবেন, উদ্যমী ও উদ্যোগী।
১০. এলাকার জনগোষ্টীর সাথে প্রধান শিক্ষক যোগাযোগ রক্ষা করে সব কাজ করবেন।
১১.প্রধান শিক্ষক ও জনগোষ্ঠীর মাঝে পরস্পর দ্বিমুখী সক্রিয় যোগাযোগ থাকবে।
১২. প্রধান শিক্ষক এসএমসি-র সভা আয়োজন ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আন্তরিক ও সক্রিয় হবেন।
১৩. সরকারের সকল নীতিমালা এবং চিঠিপত্র এসএমসি, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে সম্পদ ব্রবস্থাপনা করবেন।
১৪. শ্রেণি কক্ষে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহজ লব্য এবং অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করবেন।
 ১৫.সকল শিক্ষক শিক্ষাক্রম, আবশ্যকীয় শিখনক্রম এবং প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ক অন্যান্য মৌলিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করবেন এবং সে অনুযায়ি কাজ করবেন।
 ১৬. শিক্ষকগণ বিদ্যালয়ের সময়সূচি (৯.০০-৫.১৫) কঠোরভাবে মেনে চলবেন।
১৭.নিয়মিত পেশাগত উন্নয়নমূলক সভা আয়োজন এবং গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করবেন।
১৮. প্রধান শিক্ষক যোগ্যতা, প্রান্তিক যোগ্যতা, শ্রেণি ভিত্তিক যোগ্যতা, পাঠ্য বিষয়বস্তু এবং শিখন ফল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখবেন এবং সহকারি শিক্ষকদেরকে এসব বিষয় বুঝিয়ে দেবেন।
কাযর্কর সম্পদের সহায়ক উপাদানসমূহ:
বিদ্যালয়েরর জমি, ভবন, খেলাধুলার মাঠ ও আসবাবপত্র পর্যাপ্ত পরিমানে থাকবে।

কার্যকর পরিবেশের সহায়ক উপাদানসমূহ;
.         নিরাপদ পানীয় জলের ব্যবস্থা থাকবে।
.         পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
.         পয়:নিস্কাশনের ব্যবস্থা বা পায়খানা স্বাস্থ্যসম্মত হবে। শিক্ষক/শিক্ষিকার আচার-ব্যবহার শিখন সহায়ক হবে।
.         একটি যথাযথ ও সুন্দর দৈনন্দিন সমাবেশ পরিচালনা করা হবে।
.         শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ও বেত ব্যবহার হতে নিরাপদপদ থাকবে।
.         শিক্ষার্ীদের প্রতি দিনের উপস্থিতি চকবোর্ড/হোয়াইট বোর্ডে প্রদশর্ন বা লিখে রাখা হবে।
.         শ্রেনিকক্ষে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকবে।
.         বিদ্যালয় ভবন ও শ্রেণিক্ষগুলো নিয়মিত মেরামত-সংস্কার করা হবে।
.         বিদ্যালয় অঙ্গনে শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ বজায় থাকবে।
.         খেলাধুলার জন্য সুপরিসর মাঠ থাকবে।
.         আকর্ষণীয় সহ-পাঠক্রমিক কাযর্ক্রম পরিচালনা করা হবে এবং এসব কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
.         সকল কাজে ছেলে-মেয়ে সমান গুরুত্ব পাবে।
.         নেতৃত্ব গুণাবলি সম্পন্ শিশুদের বিভিন্ন কাজে লাগাবেন।
.         দুর্বল শিশুদের জন্য নিরাময়মূলক ব্যবস্থা থাকবে।
শিখন-শেখানো কার্ক্রমের সহায়ক উাদানসমূহ:
শ্রেণি ব্যবস্থাপনা-
-শিক্ষক ও শিশুদের জন্য হাটা-চলার পযার্প্ত জায়গা থাকবে।
-পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা থাকবে।
-বেঞ্চে বসার জন্য প্রয়োজণীয় সংখ্যক আসন ব্যবস্থা থাকবে।
-শ্রেণিকক্ষগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
-শ্রেণিকক্ষগুলো বিভিন্ন ধরণের  কাজের উপযোগি হবে।
-প্রত্যেক শ্রেণিতে চক বোর্ড/হোয়াইট বোর্ড থাকবে।
পাঠ পরিকল্পনা/লেসন নোট:
-শ্রেণি পাঠদান করার পূর্বে শিক্ষক ভালভাবে বিষবস্তু আয়ত্ত করে পাঠ পরিক্ল্পনা তৈরি করে পাঠদান করবেন।
-আকর্ষণীয় ও পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণ ব্যবহার করবেন।
-পাঠের শিখন ফল ভালভাবে বুঝে তা নির্ধারণ করে নেবেন।
-শিক্ষক পাঠ-পরিকল্পনাটি লিথিতভাবে নিয়ে যাবেন।
পাঠদান;
-শিশুরা শ্রেণিকক্ষে সক্রিয় থাকবে।
-শিক্ষার্থীরা উপকরণের সাহায্যে পাঠ উপস্থাপন ও শিখন ফল অর্জন করবে।
-শিক্ষক বিভিন্ন ধরণের পাঠদান কৌশল ব্যবহার করবেন।
-শিশুদেরকে কাজ করাবেন বেশি, শিক্ষক নিজে কাজ কম করবেন।
-শিশুরা শিক্ষকের সাথে একাত্ব বোধ করবে, ভয় পাবে না, প্রশ্ন করবে।
-শিশুরা নিজেদের মাঝে মতবিনিময় করবে।
-শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ঘুরে ঘুরে শিশুদের কাজ তদারকি করবেন।
-শিক্ষক প্রতিটি শিশুর কাছে যাবেন এবং প্রশ্ন করবেন।
-প্রত্যেক শিশুর সাথে শিক্ষক সমান আচরণ করবেন।
-অপারগ ও পিছিয়ে পড়া শিশুদের প্রতি শিক্ষক বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।

শিশুর কাজ:
-শিশুদের কাজ প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে।
-সকল শিশুর খাতা থাকবে।
-শিশুদের কাজ মূল্যায়ন করা হবে।
-শিশুদের খাতার কাজ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন হবে।
-শিশুদের খাতায় বিভিন্ন ধরণের কাজ থাকবে।
-শিশুরা অধিকাংশ সময় কাজে ব্যস্ত থাকবে।
-শিশুদের বিশেষত ৩য় হতে ৫ম শ্রেণির শিশুদের বাড়ির কাজ দেয়া হবে।

শিশুদের দৃষ্ঠি-ভঙ্গি ও তাদের প্রতিক্রিয়া:
-শিশুদের সাথে শিক্ষকের আচরণ হবে বন্ধুসুলভ।
-সকল শিশুর প্রতি শিক্ষক সমান দৃষ্ঠি দেবেন।
-শিক্ষক শিশুদের প্রশংসা করবেন।
-শিশুদের ফিড-বেক বা ফলাবতর্ন দেবেন, শিক্ষক।
-ছেলে-মেয়ের প্রতি সমান গুরুত্ব দেয়া হবে।
-শিশুদের দোষ-ক্রুটির প্রতি শিক্ষক সহানুভূতিশীল হবেন।

কিছু সফল বিদ্যালয়ের গল্প: নিবন্ধটির প্রারম্ভে আমি শিবরাম এবং মোকামতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা বলেছি। দেশে আরও অনেকগুলো সফল প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এধরণের কিছু বিদ্যালয় হলো; খুলনা সদর উপজেলার আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা, কুস্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাটিকামারা, রংপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মোলাটোলা, নরসিংদী সদর উপজেলার কামারগাঁও, দিনাজপুর সদর উপজেলার কানপুর, নাটোরের সিংড়া উপজেলার মাঝগ্রাম, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরগড়, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মধুপুর মডেল, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জে এম, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পালপুর, খুলনা ফুলতলা উপজেলার শিরোমনি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সফল। আর তারা ধারাবাহিকভাবে সাফল্য দেখিয়ে চলেছ।রাজধানী ঢাকা শহরে বেশ কয়েকটি সফল বেসরকারি-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

উপসংহার:
আমি প্রায়ই বলে থাকি যে, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সফল সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে।দেশের বিভিন্ন এলাকার শিক্ষকগণ পেশাজীবীসুলভ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে থাকেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন।আমরা কক্সবাজার এলাকায় তথা সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারছি না। ককসবাজার জেলা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে এটা আমরা সবাই জানি। এটা কাম্য হতে পারে না। আমাদেরকে আরও আন্তরিক ও সক্রিয় হয়ে কাজ করতে হবে। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কক্সবাজার জেলা অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের অন্য অনেক এলাকার চেয়ে। অথচ শিক্ষা-দীক্ষায় পিছিয়ে থাকব,তা হতে পারে না। চলুন, আমরা সবাই ইচ্ছা শক্তি এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নতুন বছরে কাজ করে যাই, আমরাও পারব প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এক একটি সফল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন