প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় শিক্ষার্থী
মূল্যায়ন প্রতিবেদন/২০১৩: একটি পর্যালোচনা
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার
মহেশখালী, কক্সবাজার।
বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে ২ কোটিরও বেশি ছাত্র/ছাত্রী
অধ্যয়ন করে থাকে। বিগত এক দশকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে
বটে, কিন্তু তাদের মানসম্মত পড়াশোনা নিশ্চিতকরণ বিষয়টি এখনও একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে
আছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষক, শিক্ষাদান এবং এবং মানসম্মত পড়াশোনা
নিশ্চিত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেছে।জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন ব্যবস্থা, এর
অন্যতম উদ্যোগ।প্রাথমিক শিক্ষায় আমরা বিবিধ মূল্যায়নের কথা জানি। ক্লসটেস্ট,
সাপ্তাহিক টেস্ট, মডেল টেস্ট, যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়ন,প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী
পরীক্ষা ও বিদ্যলয়ে পরীক্ষা গ্রহন প্রভৃতি। সাধারণত মূল্যায়ন দু‘ধরণের; লিখিত ও
মৌখিক। আজকের নিবন্ধটি তৈরি করেছি জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ওপর।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের উদ্দেশ্য:
-বিশেষভাবে বাছাই করে নেয়া বিদ্যালয়গুলোতে ৩য় ও ৫ম শ্রেণির
শিক্ষার্থীদের শিখন ফল অর্জনের মাত্রা যাচাইকরণ্।
-শিক্ষার্থীদের সাফল্যে বিদ্যালয়ে প্রধান প্রধান ভূমিকাসমূহ
চিচ্নিতকরণ।
-শিখনে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনগুলো চিহ্নিতকরণ।
-ভাল ও কম ভাল বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা
নিশ্চিতকরণের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা।
-মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা ও শিক্ষার্থীর শিখন স্তর চিহ্নিত
করে নীতি প্রণয়নের জন্য সুপারিশমালা উপস্থাপন করা।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কী?
এটি একটি নমুনা ভিত্তিক মূল্যায়ন। আদর্শ মান বজায় রেখে প্রণীত
৩৫ থেকে ৪০ টি অভীক্ষা পদের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর কৃতিত্ত্ব পরিমাপের উদ্দেশ্যে এক বছর অন্তর অন্তর
পরিচালিত জাতীয় কৃতি অভীক্ষার মাধ্যমে এ মূল্যায়ন করা হয়। এটি বাংলাদেশের শতকরা ৯৪
ভাগ শিক্ষার্থীর শ্রেণি ও বিষয় ভিত্তিক যোগ্যতা অর্জনের প্রতিরূপ বা দলির হিসেবে
জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সরকারিভাবে পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার
গার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়, এবতেদায়ী মাদ্রসা, ব্রাক সেন্টার, আনন্দ স্কুলে এটি
পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এরূপ ১,০৩৫ টি বিদ্যালয় থেকে ৩য় শ্রেণির ২২,৪৭১ জন এবং ৫ম
শ্রেণির ১৭,৮২৮ জন শিক্ষার্থী ১৯ নভেম্বর ২০১৩ সালে এ কৃতি অভীক্ষা ২০০৬, ২০০৮,
২০১১ এবং ২০১৩ সালে একই নিয়মে পরিচালিত হয়। এতে নির্বাচিত প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে তৃর্তীয়
শ্রেণির মধ্যে ২০ জন শিক্ষার্থী দুটি বিষয়ে (বাংলা ও গণিত) তাদের কৃতিত্ত্ব প্রকাশের
সুযোগ পায়।এটি প্রচলিত পরীক্ষা তথা প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হতে ভিন্নতর।
এটির উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের পাশ ফেল পরিমাপ করা নয়। এ মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর
আর্থ-সামাজিক অবস্থা, প্রধান শিক্ষকের বিষয় সম্পর্কিত নেতৃত্ব জ্ঞান এবং বিষয়
শিক্ষকের নিবীড পেশাগত জ্ঞান সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।সংগৃহীত এ সকল তথ্য বিশ্লেষণ
করে শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতিতে এর প্রভাব নিরূপন করা হয়। এ অভীক্ষায় প্রাপ্ত
ফলাফল বিশ্লেষণেল মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থার দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত
করা হয়। এ সকল দুর্বলতা নিরসনপূর্বক শিক্ষা ব্যবস্থার উৎকর্ষ সাধন, গুণগত মান
উন্নয়ন সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ করতে এ প্রতিবেদন
সহায়তা করে থাকে।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের প্রধান
প্রধান বৈশিস্ট্য:
-২০১১ সাল হতে বাংলা ও গণিত বিষয়ে ৩য় ও ৫ম শ্রেণির
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৩ সালে এসে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে যৎসামান্য অগ্রগতি
হয়েছ্।
-ছেলে-মেয়ের মধ্যকার পার্থক্য কমে গেছে।
-উভয় শ্রেণিতে গ্রাম এলাকার শিক্ষার্থীরা শহুরে শিক্ষার্থীদের
চেয়ে ভাল করেছে।
-জেলা ভিত্তিক যোগ্যতা অর্জনের তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন
এসেছে।
-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো অন্যান্য ক্যাটাগরির বিদ্যালয়ের
চেয়ে ভাল করেছে।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার
সীমাবদ্ধতাসমূহ:
-দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নের বিষয়টি মানসম্মতভাবে
পরিচালনা করা প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের জন্য একটি বিশাল কাজ। এ প্রক্রিয়ায অনেক
রকম বাধা-বিপত্তি এবং বিরূপতা কাজ করে।
-১০৭ হাজার, প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয়
শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।
তাই কিছু বিদ্যালয় বেছে নিয়ে এটা পরিচালনা করা হয়।
-জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রমের সাথে সংর্শ্লিষ্টদের
সবার প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকায়, এমন কি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এটার সাথে
ভালভাবে পরিচিত নয় বিধায়, কাংখিতভাবে এটা পরিচালনা করা সম্ভব হয়না।
-২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের শিক্ষাক্রমে পরিমার্জন ও
পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে, কিন্তু এ অভীক্ষা পরিচালনার সময় তা শিক্ষকদের মাঝে
ভালভাবে বিস্তরণ করা হয়নি।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন/২০১৩-এর
ফলাফল:
৩য় শ্রেণি: বাংলা- প্রতি ৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জন
প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে এবং ১ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে
পারে নি।
গণিত বিষয়ে প্রতি ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জন প্রত্যাশিত
যোগ্যতা অর্জন করতে পারলেও, ২ জন তা অর্জন করতে পারে নি।
৫ম শ্রেণি: বাংলা- প্রতি ৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন
প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করেছে। অপর ৩ম জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারে
নি।
গণিত- প্রতি ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা
অর্জন করলেও ৩ জন প্রত্যাশিত যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি।
মন্তব্য: সাধারণত যে সকল শিক্ষার্থী বাড়িতে পাঠ্য বই ছাড়া
অন্যান্য বই পড়েছে, তাদের বাংলা ও গণিতে ফলাফল অপেক্ষাকৃত ভাল হয়েছে। গাণিতিক সমস্যা
সমাধানে শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষ এবং বাড়িতে বেশি করে অনুশীলণ করতে আগ্রহী করে তুললে
উপকার হবে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভাষার দক্ষতা শিক্ষার্থীর অন্যান্য বিষয়ের
শিখনকে প্রভাবিত করে। প্রারম্ভিক শ্রেণিসমূহে (১ম হতে ৩য়) ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে
না পারলে, উচ্চতর শ্রেণিতে ভাষার দক্ষতা অর্জন কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ভাষার দক্ষতা
অর্জনের জন্য প্রারম্ভিক শ্রেণি থেকেই পঠনের ওপর অধিকতর গুরুত্ব প্রদান করতে হবে।
শিক্ষকদের জন্য করণীয়সমূহ:
-প্রত্যেক শিশুকে নিজ গতিতে ভিন্ন ভিন্নভাবে শিক্ষা অর্জনে
সহায়তা করতে হবে।
-দুর্বল ও ধীরগতিসম্পন্ন শিক্ষার্থীর প্রতি যত্নশীল হতে হবে,
বিশেষ করে তারা নিচের শ্রেণির (১ম হতে ৩য়) শিক্ষার্থীদের।
-প্রতি বিষয়ে শিক্ষার্থীর পঠন ও শিখন দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত
করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
-শিক্ষার্থীরা জ্ঞানমূলক বিষয়ে অপেক্ষাকৃত ভাল করলেও
উপলব্দিমূলক এবং প্রয়োগমূলক প্রশ্নও বুঝা এবং উত্তরদানে তেমন ভাল করতে পারে না।
সুতরাং তাদেরকে এ দুটি যোগ্যতা ভালভাবে বুঝে ওঠতে সহায়তা করতে হবে।
-যোগ্যতা ভিত্তিক মূল্যায়নে প্রয়োজ্র সংশ্লেষণ, বিশ্লেষণ ও
মূল্যায়নমূলক যোগ্যতাগুলোও শিক্ষার্থীদেরকে বুঝে ওঠতে যত্ন সহকারে সহায়তা করতে
হবে।
- শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ও স্কুলে পড়ার অভ্যাস গেড়ে তোলা
প্রয়োজন। পাঠ্য বই ছাড়াও তাদের বেশি করে গল্প, ছড়া ও কবিতা গড়তে উৎসাহিত করতে
হবে।–
-নিচের শ্রেণিতে (১ম হতে ৩য়) অনেক শিক্ষার্থী কাংখিত দক্ষতা
ঘাটতি রয়ে যায়। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার আগেই তাদের ঝরে পড়ার ঝুঁকি
বেশি। তাই তাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে।
-বিদ্যালয়ের সাথে এলাকাবাসীর নিবীড সম্পর্ক গড়ে তুলকত সচেষ্ট
হতে হবে। বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবস ও অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
গণিত অভীক্ষাপদের উদাহারণ:
৩য় শ্রেণি- মীনাদের বাড়িতে ১০ টি াাম গাছ আছ্ েসে প্রতিটি গাছ
থেকে ৮ টি করে আম পাড়ল। সেখান থেকে ১০ টি আম তার বন্ধু সেলিনাকে দিল। মীনার কাছে
এখন কয়টি আম রইল?
৫ম শ্রেণি- একটি ত্রিভুজাকার জমির ভূমি ৫৬০ সমিটার ও উচ্চতা
৩০০ মিটার। এর ক্ষেত্রফল হেক্টরে প্রকাশ কর।
শিক্ষকদের করণীয়সমূহ:
-গাণিতিক সমস্যা বা বিষয়গুলো শিক্ষার্থীদের ভাল করে বুঝতে
সহায়তা করতে হবে।
-গাণিতিক সমস্যাগুলোকে সঠিকভাবে বাক্যে রূপ দিতে সহায়তা করতে
হবে।
- তাদেরকে নির্লভাবে হিসাব-নিকাশ করতে সহায়তা করতে হবে।
-বাংলায় সাধারণভাবে পড়তে না পারার কারণ চিহ্নিত করে তা
তাদেরকে বুঝতে সহযোগিতা করতে হবে। অভিভাবকদেরকে জানাতে হবে যে, তাদের ভূমিকার
কারণে শিক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল করে।
- অভিভাবকদেরকে বলতে যে, তাদের শিশুদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে
পাঠানোর কারণে তারা ভাল করে।
-দুর্বল শিক্ষার্থীদেরকে াারও ভালভাবে পাঠদান করতে এবং
শিক্ষার্থীদেরকে কংখিত যোগ্যতা অর্জন করতে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
- অঞ্চল ভিত্তিক শিক্ষকদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠতে বলতে হবে।
-গ্রাম ও শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার পার্থক্য দূর করতে হবে।
-গণিত বিষয়ে গ্রামাঞ্চলের শিশুরা ভাল করে, শহুরে শিশুদের
তুলনায়। এতে পার্থক্য দূর করতে হবে।
-প্রধান শিক্ষককে একাডেমিক কার্যক্রমে বা পাঠদান কার্যক্রমে
সরাসরি ভূমিকা পালন করতে হবে।
-শিক্ষার্থীদের মাঝে পেশাগত ভাববিনিময় করেন এমন বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীরা ভাল যোগ্যতা অর্জন করে বিধায়, শিক্ষকদের মাঝে এ ব্যাপারে সক্রিয়
ভূমিকা পালন করতে হবে।
শ্রেণি ভিত্তিক অর্জন উপযোগি যোগ্যতা অর্জন করানোর জন্য
শিক্ষকদেরকে অত্যন্ত আন্তরিক এবং সক্রিয় হতে হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি
বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়নে প্রাপ্ত
ফলাফল ও সুপারিশমালা:
-প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান এবং শিক্ষার্থীদের অর্জিত
যোগ্যতা যাচাইকরণ ও প্রাপ্ত ফলাফল কাজে লাগিয়ে দর্বলতাসমূহ কাটিয়ে ওঠতে জাতীয়
শিক্ষার্থী মূল্যায়ন সমীক্ষা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। এতে প্রাথমিক উদ্দেশ্য থাকে
প্রাপ্ত তথ্যকে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা। বিদ্যালয় বিশেষে, শিক্ষক বিশেষে এবং
শিক।ষার্থী ও স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এতে বাংলা
ভাষা বিষয় এবং গণিত বিষয়কে নমুনা হিসেবে নিয়ে এ দু‘টি বিষয়ে অর্জিত যোগ্যতা যাচাই
করা হয়। এত সাধারণত ৫ টি উদ্দেশ্য থাকে। (১) সাধারণত নীতি প্রণয়ন এবং অন্যান্য
তথ্যের সাথে এতে প্রাপ্ত তথ্যকে তুলনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা,
(২) মান নির্ধারণ, (৩) বিদ্যালয়ে সহায়ক উপকরণ সরবরাহ করা, (৪)
শিক্ষাক্রমে পরিমার্জন ও পরিবর্তনে সহায়তা করা, এবং (৫) পাঠ্যপুস্তক ও
শিক।ষাক্রমকে পুণর্বিন্যাসকরণ।
-নীতি প্রণয়ন ও বাসতবায়নে সহায়তা করা,
-কম ভাল বিদ্যালয় বিদ্যালয় চিহ্নিত করে ভাল বিদ্যালয়ে পরিণত
করতে সহায়তা করা,
-ভোগোলিক বৈচিত্রতা বিবেচনায় রেখে কম ভাল বিদ্যালয়গুলোকে
সহায়তা করা,
-উচ্চতর পেশাগত শিখনে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের ভূমিকা পালন
করা,
-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা,
- স্বল্প মেয়াদী কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা
ব্যবস্থায় গতিশীলতা ও মান নিশ্চিতকরণে সহায়তা করা, প্রভৃতি।
উপসংহার: দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রকিয়াটি
পরিচালনা করা হয়, সীমিত পরিসরে। বেশির ভাগ শিক্ষক-কর্মকর্তা এ সমীক্ষা পরিচালনার
সাথে পরিচিত নন। সুতরাং তাঁদেরকে আরও ব্যাপকভাবে বিষয়টি অবহিত করতে হবে। তাহলে
জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন বিষয়টি আরও সাল হবে।
LOOK AT ME MY WEBSİTE TURKEY
উত্তরমুছুনtravesti
travesti
travestitravesti
travesti
izmir travestileri
istanbul travestileri
ankara travestileri
mersin travestileri
bursa travestileri
izmir travestileri
konya travestileri
diyarbakır travestileri
mersin travestileri
sakarya travestileri
sakarya travestileri
istanbul travestileri
adana travestileri
antalya travestileri
eskisehir travestileri
samsun travestileri
kocaeli travestileri
izmir travestileri
eskisehir travestileri
kayseri travestileri
eskisehir travestileri
gaziantep travestileri
adana travestileri
samsun travestileri
izmir travestileri
eskisehir travestileri
travesti
kayseri travestileri
travesti
istanbul travestileri
istanbul travestileri
kocaeli travestileri
travesti
travesti
travesti
ankara travestileri