বাংলাদেশের
প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা,
প্রাথমিক
শিক্ষাক্রম ও শিক্ষকমন্ডলী
মোহাম্মদ
শহীদুল্লাহ
সহকারি
উপজেলা শিক্ষা অফিসার
মহেশখালী,
কক্সবাজার।
আমাদের দেশে শিক্ষা
ব্যবস্থাকে তিনটি স্তরে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।প্রাথমিক শিক্ষা, মাধ্যমিক শিক্ষা
এবং উচ্চ শিক্ষা স্তর; এভাবেই আমরা দেখতে পাই। এ তিনটি স্তরের মধ্যে প্রাথমিক
শিক্ষাস্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ স্তরের শিশুদের শিক্ষার ভিত্তি শক্তিশালী না
হলে, পরবর্তী স্তরগুলোতে তাদের পড়াণোনা কেমন হয়, আমরা সবাই বাস্তবে দেখছি। প্রাথমিক
শিক্ষাস্তর পার করে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চ শিক্ষা স্তরে
শিক্ষার্থীরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়। যেসব শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে যথার্থ
যোগ্যতা অজির্ত হয়নি, সেসব শিশু কোনভাবে উৎরে গেলেও এসএসসি, এইচএসসিসহ পরবরতী স্তরে
এবং কর্ম জীবনে প্রবেশ করার সময় ব্যর্থ হবে এবং হচ্ছে, এটাই বাস্তব চিত্র। যাহোক,
আজ আমার লেখার বিষয়, প্রাথমিক শিক্ষাক্রম ও শিক্ষকমন্ডলী।
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম
কী?
সাধারণত: প্রাথমিক
শিক্ষা স্তরে পাঠদান এবং অন্যান্য সকল কাযর্ক্রমের সামগ্রিক রূপকে আমরা বলতে পারি
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যবই, পাঠদান, উপকরণ তৈরি ও ব্যবহার,
পাঠদানসূচি, পাঠ্য বইয়ের ব্যবহার, পাঠদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন, অভীক্ষা তৈরি, পরীক্ষা
গ্রহন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ, সহ-পাঠক্রমিক কার্ক্রমসহ সব কিছুকে
শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত হরা হয়। দেশের বিশেষজ্ঞ শিক্ষা মনোবিজ্ঞানীগণকে এবং
প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের পাঠ্য বিষয়ের অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল
কতৃক প্রাথমিক শিক্ষাক্রম রচনা করা করা হয় এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। আবার,
তাদেরই পরামর্শে এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এ শিক্ষাক্রমকে সাজানো হচ্ছে এবং পরিমার্জণ,
সংশোধন, নতুন নতুন ধ্যান-ধারণার সংযোজন ও সমৃদ্ধ করা হচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে শিক্ষানীতি
/২০১০ এবং প্রাথমিক শিক্ষা আইনের আলোকে ২০১৩ সালে, প্রাথমিক শিক্ষা কাযর্ক্রমকে
পরিবর্রতন, পরিমার্জণ ও সংশোধন করা হয়েছে। পুণনিধার্রণ করা হয়েছে; প্রাথমিক
শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, যোগ্যতা, প্রান্তিক যোগ্যতা, শ্রেণি ভিত্তিক যোগ্যতা,
পাঠ্য বই, বিষয়বস্তু, শিখণ ফল প্রভৃতি। ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করা হয়েছে সার্বিক
বিষয়গুলো। সর্বোপরি, আমাদের দেশের প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের ধারণাকে সংজ্ঞায়িত করা
হয়েছে এভাবে যে, “ কোন বিশেষ স্তরের শিক্ষা সম্পকির্ত কাযর্ক্রম ও অভিজ্ঞতার পূর্ণাঙ্গ দলিল, যা কোন দায়িত্বশীল সংগঠন
দ্বারা গৃহীত ও পরিচালিত হয়, তাই শিক্ষাক্রম”। শিক্ষাক্রমের কতগুলো ধাপ আছে। যেমন-
শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ, শিক্ষার কাঠামো নির্ধারণ, পাঠ্য বিষয় ও
বিষয়বস্তু নির্ধারণ, পাঠ্যসূচি নির্ধারণ, শিখন-শেখানো কার্যাবলি নির্ধারণ, শিখন ফল
নির্ধারণ, মূল্যায়ন কৌশল নির্ধারণ এবং পরিকল্পিত কাজ নিরূপণ।
শিখণক্রম কী?
শিখন-শেখানো প্রক্রিয়ার
লক্ষ্য হল; শিক্ষার্থীর আচরণের কিছু কাংখিত পরিবর্তণ আনয়ণ করা। আর, এই আচরণ ও
পরিবর্তণ বলতে বুঝায় শিক্ষার্থীল জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তণ। অর্থাৎ
কোন একটি পাঠ শেষে শিক্ষার্থী কী জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃস্টি ভঙ্গি অর্জন করবে, সে
সম্পর্ক সুস্পষ্ট ও সুনিদির্স্ট বিবৃতি বা বাক্য হল আচরণিক উদ্দেশ্য। আচরিণিক
উদ্দেশ্যকে শিখনফলও বলা হয়ে থাকে। কারণ, শিখনের পূর্বে যে উদ্দেশ্যগুলোকে পাঠের
আচরণিক উদ্দেশ্য হিসেবে শনাক্ত হরা হয়, শিখণের পর মূল্যায়নের সময় শিক্ষার্থীরা সেগুলোকে
আচরণিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রকাশ করে। শিখনের ফল হিসেবে পাওয়া যায় বলে এই আচরণিক
উদ্দেশ্যগুলোকে শিখন ফল হিসেবেও অভিহিত করা হয়।
আচরণিক উদ্দেশ্য/শিখনফলের
বৈশিস্ট্য:
১।বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত,
স্পস্ট ও সুর্দস্ট হয়, ২। ক্রিয়াবাচক পদ সুনিদির্ষ্ট, সংক্ষিপ্ত থাকে, ৩। আচরণগত
অংশ পর্যবেক্ষণযোগ্য হয় এবং ৪। শিক্ষার্থীর আচরণকে ভিত্তি করে রচিত হয়।
শিক্ষাক্রম ও
শিখনক্রমের পারস্পরিক সম্পর্ক:
শিক্ষাক্রম ব্যাপক।
শিক্ষাক্রমে শিক্ষার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, কাঠামো, পাঠ্য বিষয়, বিষয়বস্তু, প্যান্কি
যোগ্যতা, শিকণ ফল ইত্যাদি উল্লেখ থাকে, কিন্তু শিখনক্রমের পরিসর সীমিত। শিখনক্রমে
শুধুমাত্র যোগ্যতাসমূহ ধাপে ধাপে সন্নিবেশিত থাকে। প্রত্যেক শিক্ষার্ীকে প্রতিটি
যোগ্যতা ধাপে ধাপে অরর্জন করতে হয়।
প্রাথমিক শিক্ষাক্রমের
বৈশিস্ট্য:
বর্তমানে প্রাথমিক
শিক্ষাক্রমের বৈশিস্ট্যসমূহ নিন্মোক্তরূপে উল্লেখ করা হয়েছে:
.
শিক্ষানীতি-২০১০-এর
রূপরেখার প্রতিফলন ঘটানো হয়েছে।
.
জাতীয়
শিক্ষানীতি-২০১০-এর নিদের্শনা অনুসারে শিশুর নিরাপত্তা বিষয়টি সংযোজন করা হয়েছে।
.
প্রান্তিক
যোগ্যতাগুলোকে ৫৩ টি থেকে কমিয়ে ২৯ টি নির্ধারণ করে নতুনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে।
.
প্রথম
ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে শিখন ফল নির্ধারিত ও
পরিকল্পিত কাজ ছিল না, যা বর্তমান শিক্ষাক্রমে সম্পূর্ণ নতুনভাবে সংযোজন করা
হয়েছে।
.
প্রায়
সকল সকল শিখন ফলের বিপরীতে পরিকল্পিত কাজ প্রদান করা হয়েছে।
.
প্রচলিত
শিক্ষাক্রমে পরিকল্পিত কাজ শিক্ষকের কাজ হিসেবে, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে তা
শিক্ষার্থীর অনুশীলণ কর্ম হিসেবে দেয়া হয়েছে।
.
তথ্য-প্রযুক্তির
সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার অভিপ্রায়ে পরিমারজিত শিক্ষাক্রমেিএ সম্পকির্ত
বিষয় অন্তর্ভক্ত করা হয়েছে, যা আগে ছিল না।
.
কোমলমতি
শিশুদের দেশপ্রেম ও দেশের প্রতি ভালবাসার উন্মেষ ঘটানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে
জাতীয় ইতিহাস, জাতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ধারবাহিকভাবে পরিচিত করানোর সুযোগ
রাখা হয়েছে।
.
পরিমার্জত
শিক্ষাক্রমে বিভিন্ন বিষয়বস্তু যাতে সহজবোধ্য হয় এবং শিশু সেগুলো আনন্দের সাথে
হৃদয়ঙ্গম করতে পারে, মুখস্থ করতে না হয়, সে সকল দিকে লক্ষ্য রেখে শিখন পদ্ধতি,
পরিকল্পিত কাজ এবং লেখক ও অংকন শিল্পীদের জনন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
.
দীর্ঘদিন
বিজ্ঞান বিষয়টি একটি যান্ত্রিক বিষয়রূপে বিবেচিত হয়ে এসেছে। মৌখিখভাবে অনুসন্ধিৎসা,
সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী দক্ষতা, প্রশ্ন প্রবণতার কথা উচ্চারিত হলেও প্রচলিত
শিক্ষাক্রমে এর প্রতিফলন ঘটেনি। মুখস্থ বিদ্যা, প্রতিষ্ঠিত উপাত্ত ও তথ্য
অপরিবরতিত বিষয়রূপে শিক্ষার্থীদের কাছে গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। পরিমার্জত শিক্ষাক্রমে
এ বিষয়টি একটি সজীব, গতিশীল, আনন্দদায়ক ও সৃজনশীল কর্মকান্ডরূপে উপস্থাপন করা
হয়েছে।
.
জলবায়ু
পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যাগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে পরিমাজির্ত
শিক্ষাক্রমকে সাজানো হয়েছে।
.
বিষয়বস্তুর
বোঝা অনেকটাই লাগব করা হয়েছে।
.
পরিবেশ
পরিচিতি-সমাজ বইটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে; বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়।
.
বিজ্ঞান
বইটির নাম রাখা হয়েছে; প্রাথমিক বিজ্ঞান।
.
শিক্ষাক্রমে
যুগের চাহিদা ও একুশ শতকের বাস্বতাকে ধারণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
.
ধর্ম
শিক্ষা বইয়ের নামকরণ করা হয়েছে ইসলাম/হিন্দু/বৌদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা।
শিক্ষাক্রম ও শিক্ষকদের
কার্যক্রম: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে যাঁরা শিক্ষকতা করছেন, তাঁরা সবাই
পুরুষ হলে কমপক্ষে স্নাতক পাশ এবং মহিলা হলে কমপক্ষে এসএসসি পাশ। সেইসাথে পেশাগত
যোগ্যতা; সি-ইন-এড, ডিপি-এড, বি-এড, এম-এড প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বিগত ১০/১৫ বছরে
যাঁরা শিক্ষকতায় এসেছেন, তাঁদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনসহ
তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা লাভ করে এসেছেন। আবার, তাঁদের একটা অংশ বিদ্যালয়ের
সাবির্ক কাযর্ক্রমে চৌকশ এবং অতি উচ্চ মানের শিক্ষকতা করার সক্ষমতা সম্পন্ন।
কিন্তু, এমন শিক্ষক খুব কম দেখতে পাই যে, যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষাক্রমসহ অন্যান্য
বিষয়ে জ্ঞান অর্জন এবং প্রয়োগিক দক্ষতাকে কাজে লাগাচ্ছেন। সেটা, বিষয় জ্ঞানই হোক
বা প্রায়োগিক অথবা প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানই
হোক।নেই বিদ্যালয়ে এর প্রভাব, নেই শ্রেণিকক্ষেও এর কোন প্রভাব।আছে, পিটিআই গেইটে ও
কেতাবে।বাস্তবতা হলো; বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যা করছেন, অন্যান্য
চাকুরির মত একটি চাকুরি। কিন্তু, সে রকম মোটেই হওয়ার কথা ছিল না। তাঁরা অনেক কষ্টে
আছেন, অনেক পরিশ্রম করেন, অনেক রকম সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা করেন; এটা
অনস্বীকার্য। কিন্তু, বর্তমান যুগোপযেগি এবং একবিংশ শতাব্দীর উপযোগি শিক্ষার্থী
গড়ে তোলার জন্য যতটা প্রয়োজন, তা আশানুরূপ হচ্ছে বলে মনে হয় না।তাঁদের অধিকাংশেরই
আরও সক্রিয় এবং আন্তরিক হয়ে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন রা অপরিহার্য।
২০১৫ সালে করণীয়সমূহ: আগামি
২০১৫ সালকে সামনে রেখে আমরা প্রাথমিক শিক্ষায় কমর্রত শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ সকলেই
নিন্মোক্ত কিছু প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কাজ করতে পারি। তাহলে, হয়তো আমাদের বদনামগুলো
ধীরে ধীরে মুছে যাবে।
.
শিক্ষকগণ
সবাই বদলে যাবেন, উত্তম শিক্ষক হবেন।
.
প্রত্যেক
শিক্ষার্থীকে মানসম্মত পড়াশোনায় পারদর্শী করে তুলবেন।
.
প্রাথমিক
শিক্ষাক্রম ও এর বৈশিষ্ট্যসমূহ পড়ে বুঝে নেবেন।
.
পাঠ্য
বইগুলো ভালভাবে অধ্যয়ন করে আয়ত্ত করে নেবেন এবং যত্ন সহকারে পাঠদান করবেন।
.
বিদ্যালয়ের
উন্নয়নের জন্য একটি সুন্দর ও কারযকর পরিকল্পনা গ্রহন করবেন।
.
পরিকল্পনাটিতে
থাকবে, পাঠ্যক্রম, পাঠ্যসূচি, শ্রেণি রুটিন, বিষয় ভিত্তিক পাঠ পরিকল্পনা তৈরি,
লেসন-প্লান স্টাডি, উপকরণ তৈরি, সংগ্রহ ও ব্যবহার নিদের্শিকা প্রভৃতি।
.
প্রত্যেক
শিশুকে কোন না কোন বা অন্তত একটি সৃজনশীল কাজে দ্ক্ষ করে তুলবেন।
.
সহ-পাঠক্রমিক
কাজগুলো নিয়মিত ও সারা বছর অনুশীলণ করাবেন।
.
সকল
শিশুর ও সব ধরণের শিশুর নিরাপদ ও আনন্দদায়ক শিখন নিশ্চিত করবেন।
.
স্থানীয়
ও জাতীয় ক্ষেত্রে আয়োজিত প্রতিযোগিতায়
প্রতেকটিতে শিশুদের অংশগহন করাবেন।
.
খেলা-ধুলা
বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতাগুলোতেও অংশগ্রহন করাতে হবে।
.
বিদ্যালয়ের
সকল তথ্য ও রেকর্ড-রেজিস্টারগুলো সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও হালফিল করে নেবেন।
.
সবদিক
গুছিয়ে নেবেন এবং বিদ্যালয়কে কাংখিত মানে উন্নীত করার জন্য সর্বাত্নক আন্তরিক প্রচেস্টা
চালাবেন।
.
উপবৃত্তি
বিতরণ প্রক্রিয়া, মিড-ডে মিল, বিদ্যালয় মেরামত-সংস্কার, ভবন নির্মাণ-পুণনির্মাণসহ
সকল কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করবেন।
. এলাকাবাসি, এসএমসি,
পিটিএ-সহ স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহলকে বিদ্যালয়ের কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত
করবেন।
.
সর্বোপরি,
বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও শিক্ষকদের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে সতর্ক হবেন।
উপরে, আমরা প্রাথমিক
শিক্ষাক্রম, এর বৈশিস্ট্য, অবশ্যকীয় শিখনক্রম, শিক্ষাক্রম ও আবশ্যকীয় শিখনক্রমের
মধ্যকার পার্থক্য এবং শিক্ষকমন্ডলীর করণীয় কিছু বিষয় এবং আগামী বছরের জন্য একটি
কার্য তালিকা নিয়ে আলোচনা করেছি। সাধারণত: এসব বিষয় সাধারণ শিক্ষকগণ জানার সুযোগ
পান, কম । আর, এগুলো জানা না থাকলে, কোন শিক্ষক সঠিক দিক-নির্দশনা পাবেন না, পান
না।ফলে, যা হওয়ার তাই হয়ে থাকে, হচ্ছে। এসব বিবেচনায় নিবন্ধটি রচনা করা হয়ছে। আশা
করি সংশ্লিষ্ট সকলেই এতে উপকৃত হবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন